বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০১৪
সেচ্ছায় অবসর বেছে নিলেন-নিয়াজ উদ্দিন মিয়া
Home Page » জাতীয় » সেচ্ছায় অবসর বেছে নিলেন-নিয়াজ উদ্দিন মিয়াবঙ্গ-নিউজ:সচিবালয় প্রতিবেদক : ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগে স্বেচ্ছায় অবসরে গেলেন স্বাস্থ্যসচিব নিয়াজ উদ্দিন মিয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তিনি জনপ্রশাসন সচিব ড. কামাল আবদুল নাসেরের কাছে জমা দেন।তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ ছিল।এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছিল।সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি আজ অবসরে গেলেন।গত ২২ সেপ্টেম্বর বাতিল করা হয় তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সনদ।
চাকরির শেষ মুহূর্তে এসে মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উঠান তিনি। এ্কই অভিযোগ ওঠে আরো তিন সচিব, এক সাবেক সচিব ও একজন যুগ্ম-সচিবের বিরুদ্ধে।পরে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখির পর তাদের মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ভুয়া কিনা- সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তারা হলেন- সদ্য পদত্যাগ করা স্বাস্থ্য সচিব নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব একেএম আমির হোসেন, বর্তমানে বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান (প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সচিব) মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের খোন্দকার শওকত হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম তালুকদার।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চাকরির শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়ার হিড়িক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ থেকে ৩৫ বছর চাকরি করার পর এখন অবসর নেয়ার পালা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেখাতে পারলেই আরও এক বছর বেশি চাকরি করা যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে। চাকরির মেয়াদ বাড়াতে বা অন্যান্য সুযোগ নিতে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন- এমন কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত চারজন সচিব, একজন যুগ্ম-সচিব ও একজন সাবেক সচিব রয়েছেন। আর গত পাঁচ বছরে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মোট ১১ হাজার ১৫০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫২:২৯ ৩৯৭ বার পঠিত