মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০১৪
প্রেমের ব্যাপারে পুরুষ থেকে একটু সতর্ক থাকুন !
Home Page » এক্সক্লুসিভ » প্রেমের ব্যাপারে পুরুষ থেকে একটু সতর্ক থাকুন !নিজস্ব প্রতিবেদক-আল রিআন: প্রেমের ব্যাপারে সবাইকেই একটু সতর্ক থাকতে হয় যাতে সহজেই মনে কষ্ট না লাগে। প্রেমের ছলনায় ধকা খাওয়ার আগেই যার সাথে প্রেম করছেন সে কেমন তা বুঝে নেয়া আর জেনে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই প্রেম করার ক্ষেত্রে জ্বালা মুক্ত থাকতে হলে কিছু ধরনের ছেলের থেকে দূরে থাকাই আপনার জন্য শ্রেয়, যাতে আপনিও ভাল থাকেন আর আপনার হৃদয়টাও অক্ষুন্ন থাকে।
অস্থিরমতি
এই ধরনের পুরুষদের থেকে সাবধান। জীবনে শান্তিতে থাকতে চাইলে, এদের সঙ্গে ডেটিং নৈব নৈব চ। এদের অস্থির ব্যক্তিত্ব আপনার জীবন পাগল পাগল করে দেবে। কখনও এরা ভীষণ কেয়ারিং, আপনার খুব খেয়াল রাখে।
তার পরের মুহূর্তেই এক্কেবারে উদাসীন। আদৌ আপনার সঙ্গে কী হলো না হল, সে দিকে ফিরে তাকায় না। ব্যবহারে এই আজব পরিবর্তনের মাথামুণ্ডু আপনি বুঝতে পারবেন না। তা চেয়ে ভালো এই সব পুরুষদের থেকে দূরে থাকুন।
সেলফিশ জায়েন্ট
আমি এবং আমার। এর বাইরে এরা কিচ্ছু বোঝেন না। আপনি কি চান বা আপনার কি পছন্দ, তা নিয়ে এদের মোটেও মাথাব্যাথা নেই। মনে করুন আপনারা কোনো রেস্তোঁরায় খেতে গেলেন, খাবারের অর্ডার কিন্তু শুধুই আপনার বয়ফ্রেন্ডের পছন্দ অনুযায়ী দেয়া হবে।
বা বছর শেষের ছুটিতে আপনি সমুদ্রে বেড়াতে যেতে চান, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতে হবে মরুভূমিতে। কারণ আপনার পুরুষ সঙ্গীটি ক্যামেল রাইড নিতে চান। এদের স্বার্থপরতার সঙ্গে মানিয়ে চলা খুব মুশকিল। তাই এদের থেকে দূরেই থাকুন।
দেখো আমি বাড়ছি মামি
এরা কখনোই বড় হয় না। এরা গার্লফ্রেন্ডের মধ্যেও অভিভাবকের খোঁজ করেন। আপনি এর জুতার ফিতে বেঁধে দেবেন, অফিস যাওয়ার আগে জামাকাপড় বেছে দেবেন, রান্না করে দেবেন, দরকার হলে খাইয়েও দেবেন।
মোট কথা বাচ্চা ছেলের যেভাবে কেয়ার নিতে হয়, আপনার বয় ফ্রেন্ডেরও সেভাবে কেয়ার পরামর্শ হলো সময় থাকতে কেটে পড়া।
রোমিও টাইপ
এরা হলেন ফ্লার্ট কিং। বিশ্বের যেকোনো মহিলার সঙ্গে এরা ফ্লার্ট করতে ভালোবাসেন। অফিসের রিসেপশনিস্ট, রেস্তোঁরার ওয়েট্রেস, বাড়িতে আবর্জনা নিতে আসা মহিলা, এমনকি আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড, সবার সঙ্গেই এরা অবলীলায় ফ্লার্ট করেন।
সিরিয়াস সম্পর্কে জড়াতে চাইলে এই ধরনের পুরুষ এ বিগ নো। এরা কিন্তু শরীর ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। আপনি নিজেও এরকম সম্পর্ক পছন্দ না করলে মানে মানে সরে আসুন।
ইমোশনাল অত্যাচার
এরা ভীষণ স্যাঁতস্যাতে ধরনের হন। পাশের বাড়ির বেড়াল মরলেও এরা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে ভালোবাসেন। সব কিছুতেই আপনি ছাড়া যে তিনি কতটা অসহায়, তা বারবার বুঝিয়ে দেন।
সব সময় ইমোশনালি জোর করে নিজের মত প্রতিষ্ঠিত করেন। সাবধান, এদের সঙ্গে বেশিদিন থাকতে গেলে কিন্তু পাগল হয়ে যাবেন।
চিনি গো চিনি
এদের ডিকশনারিতে সারপ্রাইস বলে কোনো শব্দ নেই। মিটারের হিসেবে ট্যাক্সির ভাড়া কত উঠবে, সেটা যেমন আপনি জানেন, এই ভদ্রলোকও কোন পরিস্থিতে কী ভাবে রিয়েক্ট করবেন, সেটাও আপনি চোখ বুজে বলে দিতে পারবেন।
এদের কাছ থেকে নতুন কিচ্ছু কখনোই আশা করবেন না। মোট কথা এই ধরনের পুরুষরা বড্ড বোরিং হন। এক মাসের বেশি এদের সহ্য করা বেশ কঠিন।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৯:৩৫ ৪৫৪ বার পঠিত