রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৪

বাংলাদেশ-ভারতে জঙ্গি নিয়ে উইকিলিকসে্র তথ্য ফাঁস

Home Page » জাতীয় » বাংলাদেশ-ভারতে জঙ্গি নিয়ে উইকিলিকসে্র তথ্য ফাঁস
রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৪



2020202020index.jpg

বঙ্গ-নিউজ: ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জাল বিস্তারের লক্ষ্যে কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছিল বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তিগুলি। নিজেদের এই উদ্যেশ্যকে ফলপ্রসু করতে তারা ভারতের মাটিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (উলফা) সহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করার চিন্তাভাবনা করে। ২০০৫ সালে ভারতের গোয়েন্দাদের তরফেও দেশটির সরকারের কাছে সেই তথ্য এসেছিল। চাঞ্চল্যকার এই খবরটি ফাঁস করেছে কেবলবার্তা উইকিলিকস।
কেবলবার্তায় বলা হয়েছে, মৌলবাদী শক্তিদের লক্ষ্যই ছিল ভারত-বাংলাদেশের উন্মুক্ত সীমান্তে সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ওপারের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করা। ওই গোয়েন্দা বার্তা আসার পরই ভারত সরকার খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
ভারতের গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যানালিসিস অব উইং (র)-এর সাবেক ডেপুটি ডিরেক্টর এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কেবলবার্তায় বলা হয়েছে ‘নিজেদের সোর্স মারফত পুলিশ জানতে পারে যে, উলফা’র হাতে যে প্রাণঘাতী অস্ত্র এসেছিল তা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এসে পৌঁছায়। মৌলবাদী শক্তিগুলির লক্ষ্য ছিল ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করে ওপারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে বিভিন্নভাবে মদদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে তাদের স্বর্গরাজ্য বানানো, যাতে পরবর্তীতে ভারতের অন্যান্য রাজ্য এবং প্রয়োজনে বিদেশের মাটিতেও অবাধে বিচরণ করতে পারে।
উইকিলিকস আরও জানিয়েছে-‘মূলত তিনটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই কাজে বেশি উৎসাহী হয়েছিল। জামাত-উল-মুজাহিদিন (বর্তমানে জেএমবি), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি) এবং হরকত-উল-জেহাদি-ইসলামি(হুজি)।
সূত্রে খবর এই গোষ্ঠীগুলি পূর্বে আফগানিস্তানে তাদের কর্মকান্ড চালাত কিন্তু সেদেশে মৌলবাদী ইসলামী গোষ্ঠীগুলির ওপর আন্তর্জাতিক নজরবিধি বেশি থাকায় অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিহীন বাংলাদেশকে তাদের অপারেশনের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয়। কেবলবার্তাটিতে এও জানানো হয়েছে মৌলবাদী সংগঠগুলির এই বাড়বাড়ন্ত যথেষ্ট উদ্বেগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর কাছে। কারন বিএসএফ-এর ধারনা সমাজের অল্পবয়সী যুবকদের জেহাদি কাজে উদুব্ধ করতে মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করছে এই মৌলবাদী সংগঠগুলি।
উইকিলিকস কেবলবার্তা জানিয়েছে ‘২০০১ সাল থেকেই সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্চর্যজনক পরিবর্তন লক্ষ্য করে আসছে ভারতীয় কর্তপক্ষ, কারণ ওই অঞ্চলগুলিতেই মৌলবাদী সংগঠনগুলি ক্রমাগত তাদের প্রভাব বিস্তার করে আসছে। উদাহরণ হিসেবে তারা বলছে ‘কর্তৃপক্ষ লক্ষ্য করছে সীমান্তের দুই পারেই ব্যাঙের ছাতার মতো মাদ্রাসুগলি গজিয়ে উঠেছে। এরমধ্যে অধিকাংশই অনুমোদনহীন। তাদের ধারনা এই অনুমোদহীন মাদ্রাসাগুলিতেই যুবকদের নিয়োগ চলত।

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৬:১৪   ৩৮২ বার পঠিত