বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০১৪
ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে ধর্ষণ
Home Page » প্রথমপাতা » ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে ধর্ষণবঙ্গ-নিউজ:শার্শা থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রহিম জানান, এ ব্যাপারে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে । যশোরের শার্শা উপজেলায় ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার উলাশী-কুচেমোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুধবার সকালে স্থানীয় জোহরা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে শার্শা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু লোকলজ্জায় পরে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান তিনি।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার ওই নারী তার মামাতো ভাইকে নিয়ে যশোর থেকে শার্শা উপজেলার ভবানীপুরে যাচ্ছিলেন।
পথে নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়ায় ৭/৮ জন লোক সড়কে দড়ি বেঁধে তাদের গতিরোধ করলে তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। এসময় ভাইকে একটি গাছের সাথে বেঁধে যুবকরা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
জোহরা ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. হাবিব জানান, ওই নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই আশিকের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ওই তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বায়েজিদ হোসেন জানান, মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শার্শা থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রহিম জানান, এ ব্যাপারে শার্শা থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, তিন সন্তানকে নিয়ে যশোর শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে মামাতো ভাইয়ের সাথে যশোর থেকে শার্শা উপজেলার ভবানীপুরে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন।
তিনি জানান, দুর্বৃত্তরা নিজেদের মধ্যে যখন কথা বলছিল তখন তিনি হাতকাটা রাজু, আরিফ, লতিফ, বাবু নামগুলো শুনেছেন। পাশবিক নির্যাতনের পর দুর্বৃত্তরা তাদের মোটরসাইকেল ও কিছু স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
ওই নারী আরও জানান, দুর্বৃত্তরা তার মামাতো ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। আর তাকে হাত-পা বেঁধে পাশের মাঠে নিয়ে যায়। এরপর ভাইয়ের সামনেই তারা তাকে পালাক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে ভাইকে বেঁধে রাখা গাছের সঙ্গে তাকেও বেঁধে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
শার্শা থানার ওসি বলেন, নির্যাতনের শিকার ও নারী কয়েকজনের নাম বলেছেন। সে অনুযায়ী ওই দুর্বৃত্তদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে যশোর হাসাপাতালে ভর্তির পর ওই নারী কিভাবে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেলেন এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের ধারণা, লোকলজ্জায় হাসপাতাল ছেড়েছেন ওই নারী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৯:২৮ ৩৭৬ বার পঠিত