মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০১৪

বিশ্ব সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বান্ধব প্রমাণিত

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » বিশ্ব সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বান্ধব প্রমাণিত
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০১৪



sil.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা’র (আঙ্কাটাড) ৪র্থ ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে (বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলন) বাংলাদেশ বিনিয়োগ বান্ধব দেশ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী। আঙ্কাটাড’র সম্মেলনের উপর এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। নতুন মেয়াদে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আমির হোসেন আমুর প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন এটি।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘৪র্থ ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরম’ শীর্ষক আঙ্কটাড’র দ্বি-বার্ষিক বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। সম্মেলনে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বান্ধব দেশ।

সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া উদ্যোগ ও কর্মসূচি সফলভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। এতে সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী দেশ ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভবনা সম্পর্কে নতুন করে ধারণা পেয়েছে। আশা করি আঙ্কটাড সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বেসরকারিখাতে উদ্ভাবনী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে।

মন্ত্রী জানান, আঙ্কটাড সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে ছিলেন ৫টি দেশেল রাষ্ট্র প্রধান এবং বাকি দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ থেকে শিল্পমন্ত্রী নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ, সুউজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, যুগ্ম সচিব বেগম আফরোজা খান, উপসচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বেগম সঞ্চিতা হক এবং বিনিয়োগ বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. আরিফুল হক।

মন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে বিনিয়োগ ও জলবায়ু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অন্তরায় ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা টেকসই বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তার বিষয়ে নিজ নিজ দেশ ও প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়াতে সরকারি- বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম গড়ে তোলার সুপারি করা হয়।

আমু বলেন, আমি সম্মেলনে বলেছি, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে শুধুমাত্র উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই বছরে তিন দশমিক নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। এর বিপরীতে বর্তমানে প্রতি বছর মাত্র এক দশমিক চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনয়োগ হচ্ছে। বাংলাদেশসহ জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে অধিকহারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে আঙ্কটাড’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সম্মেলনে বেসরকারি খাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। কারণ বেসরকারি খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকলেও তা সৃজনশীল খাতে বিনিয়োগ হয় না। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ আসলেও, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ আসে না। তাই বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তিরা যাতে আমাদের দেশে বিনিয়োগ করে সে জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/333680.html#sthash.dE7dXTXV.dpufজাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা’র (আঙ্কাটাড) ৪র্থ ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে (বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলন) বাংলাদেশ বিনিয়োগ বান্ধব দেশ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী। আঙ্কাটাড’র সম্মেলনের উপর এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। নতুন মেয়াদে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আমির হোসেন আমুর প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন এটি।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘৪র্থ ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরম’ শীর্ষক আঙ্কটাড’র দ্বি-বার্ষিক বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে। সম্মেলনে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বান্ধব দেশ।

সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া উদ্যোগ ও কর্মসূচি সফলভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। এতে সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী দেশ ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভবনা সম্পর্কে নতুন করে ধারণা পেয়েছে। আশা করি আঙ্কটাড সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বেসরকারিখাতে উদ্ভাবনী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে।

মন্ত্রী জানান, আঙ্কটাড সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে ছিলেন ৫টি দেশেল রাষ্ট্র প্রধান এবং বাকি দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ থেকে শিল্পমন্ত্রী নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ, সুউজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, যুগ্ম সচিব বেগম আফরোজা খান, উপসচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বেগম সঞ্চিতা হক এবং বিনিয়োগ বোর্ডের উপ-পরিচালক মো. আরিফুল হক।

মন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে বিনিয়োগ ও জলবায়ু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান অন্তরায় ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা টেকসই বিনিয়োগ ও উন্নয়নের জন্য দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহায়তার বিষয়ে নিজ নিজ দেশ ও প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়াতে সরকারি- বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম গড়ে তোলার সুপারি করা হয়।

আমু বলেন, আমি সম্মেলনে বলেছি, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে শুধুমাত্র উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই বছরে তিন দশমিক নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। এর বিপরীতে বর্তমানে প্রতি বছর মাত্র এক দশমিক চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনয়োগ হচ্ছে। বাংলাদেশসহ জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে অধিকহারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে আঙ্কটাড’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সম্মেলনে বেসরকারি খাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধ করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। কারণ বেসরকারি খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকলেও তা সৃজনশীল খাতে বিনিয়োগ হয় না। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ আসলেও, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ আসে না। তাই বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তিরা যাতে আমাদের দেশে বিনিয়োগ করে সে জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৮:২৮   ৩৩৪ বার পঠিত