মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০১৪

এক কোটির বেশি জাতীয় পরিচয়পত্র ভুলে ভরা!

Home Page » জাতীয় » এক কোটির বেশি জাতীয় পরিচয়পত্র ভুলে ভরা!
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০১৪



id-card-pic10.jpg

ঢাকা, ২০ অক্টোবর- হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্যভাণ্ডার ভুলে ভরা। এতে মোট ভোটারের ১৩ শতাংশের তথ্যেই কোনো না কোনো ভুল রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকে বর্তমান এ পর্যন্ত ৩ বার এ তথ্যভাণ্ডার হালানাগাদ করা হলেও এখনো তা নির্ভুল করতে পারেনি ইসি। ফলে নামের বানান, ঠিকানা অথবা জন্ম তারিখ বা পিতা-মাতার নামের বানানের ভুল সংশোধনের জন্য প্রতিদিনই হাজার মানুষ এনআইডি শাখায় ধর্ণা দিতে আসেন।
বর্তমানে মোট ভোটারের ১৩ শতাংশ নাগরিকের তথ্যে কোনো না কোনো ভুল রয়েছে বলে খোদ এনআইডি অনুবিভাগই চিহ্নিত করছে।
এনআইডি প্রকল্পের মহা পরিচালক সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিনের তৈরি করা এক প্রতিবেদনে বলেছে, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম ও সংশোধন কার্যক্রমকে গতিশীল করতে স্মার্ট কার্ড সরবরাহের আগে ডাটাবেইজের তথ্য সংশোধন করতে হবে। এজন্য অনলাইনেই ভুল তথ্য সংশোধনের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। বর্তমানে ৯২ মিলিয়ন বা ৯ কোটি ২০ লাখ ভোটারের তথ্য ইসির কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে ভুলে ভরা জাতীয় পরিচয়পত্রের সংখ্যা ‘আনুমানিক’ ১ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার। এসব এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য ১৮ মাস সময়ের প্রয়োজন। যার জন্য প্রায় ৪৩০ জন লোকবল লাগবে।
প্রকল্পটির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যখন কেউ আবেদন করেন, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সকল ধরনের তথ্যের প্রমাণপত্র দিতে হয়। তবে আবেদনপত্রে ব্যক্তির উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতেই কম্পিউটার অপারেটর তা সংরক্ষণ করেন। কিন্তু তারা এসব তথ্য যাচাই করে দেখেন না। ফলে আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া কাগজ-পত্র যাচাই না করার কারণেই ভুলভাবে তথ্য লিপিবদ্ধ হয়। অথচ ডাটা অপারেটরদের কাজই হচ্ছে তথ্য যাচাই-বাছাই করা। সাধারণত অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত নাগরিকের ক্ষেত্রেই ভুলগুলো বেশি হয়। যেহেতু তথ্য যাচাই করার বিধান আইনে আছে, তাই ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ হলে তার দায় কমিশনেরই।
এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেসন্স) মহসীন আলী বলেন, একটি আবেদন ফরম পূরণের সময় বারবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিক তথ্য দিয়েছেন কি-না, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। এরপরও অনেকে ভুল তথ্যই দিয়ে থাকেন। তবে অনেক সময় ডাটা এন্ট্রি যারা করেন, তাদের গাফিলতিও থাকে। এজন্য যাদের আইডি কার্ডে ভুল রয়েছে, তাদের সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সুযোগ দেওয়া হবে। শিগগিরিই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ভুল সংশোধনের জন্য আবেদন আহ্বান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৭:১৮   ৪৩৯ বার পঠিত