সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০১৪
পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবন্টনকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল, ১জন নিহত, গ্রেফতার ২
Home Page » সারাদেশ » পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবন্টনকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল, ১জন নিহত, গ্রেফতার ২গোদাগাড়ী রাজশাহী প্রতিনিধিঃ গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড়মানিকচক গ্রামে আইল সীমানাকে কেন্দ্র করে রকিবুর ও কামু সেতাউরের আপন ভাই, উজ্জ্বল ও সাহেব আলী সেতাউরের আপন ভাতিজা, রকি ও রানা, রকিবুরের জামাই, পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবন্টনকে কেন্দ্র করে সেতাবুর রহমানের সাথে রাকিবুর ও কামুর দীর্ঘদিন হতে বিরোধ চলছিল এই বিরোধকে কেন্দ্র করে, দিয়ারমানিকচক গ্রামের রকিবুরের ছেলে উজ্জ্বল (২৯), মৃতঃ অয়েজ উদ্দীন এর ছেলে কামু (৫০), সেতাবুরকে মারার পরিকল্পনা করে। ইং ১ জুন তারিখ দিবাগত রাতে গ্রামের মসজিদে এশার নামাযের জামাত শেষ হওয়ার পর রাত ৯ টার দিকে সেতাবুর রহমান মসজিদে গিয়ে লুৎফরের সাথে ২জনে জামায়াত করে মসজিদের বারান্দায় ফরজ নামায আদায় করছিল তারপর সেতাবুর রহমানকে নামাযে সেজদা থাকাবস্থায় উজ্জ্বল পূর্ব পরিকল্পনামতে হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে, বেআইনি জনতাবদ্ধে মসজিদের সামনে আসে এবং উজ্জ্বল একটি হাসুয়া হাতে মসজিদের বারান্দায় প্রবেশ করে সেতাবুরের বাম পায়ে হাসুয়ার কোপ মারে ফলে সেতাবুরের বাম পায়ের গোড়ালির উপরের রগ কেটে গুরুতর রক্তাক্ত হয়। ওই সময় লোকজন এগিয়ে আসলে সেতাবুরকে যে কোন সময় প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে পলায়ন করে। এর কিছুদিন পর সেতাবুর রহমানের ছেলে মানিককে গোদাগাড়ী রেলবাজারে রাকিবুরের জামাই রানা সহ আরো অনেকে একাকি পেয়ে আবারো মারধর করে প্রাণনাশের চেষ্টা চলাকালে সাধারণ জনতার বাধারমুখে পড়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এদিকে ৪ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে সেতাবুরের ছেলে মানিক (২৫) জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে গেলে মৃত অয়েজ উদ্দীনের ছেলে কাইয়ুম, কামু, রাকিবুর, রাকিবুরের ছেলে উজ্জল, রাজপাড়া থানার হারুপুর গ্রামের সয়জুদ্দিনের ছেলে রানা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারধর করে এবং কামু তার হাতে দাউলি (নিরানী) দ্বারা মানিকের বুকে আঘাত করলে সে মুমূর্ষ অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে নুইয়ে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলের পার্শ্বে জমিতে কাজ করা লেবারেরা মানিকের ডাক চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিক গোদাগাড়ী ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে নেওয়া হলে সয়জুদ্দীনের ছেলে রানা (৩০) সহ তার বাহীনি নিয়ে গোদাগাড়ী মেডিকেল গেটে প্রায় ২ ঘন্টা গাড়ীর পথ রোধ করে রাখে। পরে তার আত্মীয়-স্বজনের সহযোগীতায় মানিককে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেদিনই রাত ৯টার দিকেই হাসপাতালেই মানিকের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় জনগণের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন কামু ও রানা হচ্ছে মাস্তান, বখাটে টাইপের লোক। প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে সর্বদায় মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। ময়নাতদন্ত শেষে মানিককে স্থানীয় জনতা ও তার আত্মীয়-স্বজনের সহযোগীতায় দিয়াড়মানিকচক গ্রামে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় অয়েজুদ্দীনের ছেলে কামু (৫০) ও সয়জুদ্দীনের ছেলে রানা (৩০) কে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বলে গোদাগাড়ী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:১০:১২ ৩৮১ বার পঠিত