রবিবার, ১২ মে ২০১৩
সন্ত্রাস দমনে ফেসবুক-টুইটার
Home Page » এক্সক্লুসিভ » সন্ত্রাস দমনে ফেসবুক-টুইটাররাতুল, বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দমনে কাজ করে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে। এবার তাদের নতুন কৌশল হিসাবে নজর পড়েছে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে এবার তারা ব্যবহার করবে সামাজিক যোগাযোগ সাইট।
পেন্টাগনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফক্স নিউজ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমের এ যুগে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে শুধু গোলাগুলিনির্ভর যুদ্ধ করে জেতা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা। ফেসবুক-টুইটার সেজন্য দারুণ কার্যকর বলে প্রমাণিত হতে পারে।
সম্প্রতি মোস্টওয়ান্টেড এক জিহাদির একটি টুইটার বার্তা নিজ টেবিলে প্রিন্ট করে রেখে দেন শীর্ষ মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তা অ্যালবার্টো ফার্নান্দেজ। টুইটারে লেখা বার্তাটিতে ওই জিহাদি বলেছিলেন, ‘তথ্যের লড়াই এখন সামরিক বাহিনী এবং অস্ত্রশস্ত্রের যুদ্ধের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।’
মার্কিন মোস্টওয়ান্টেড তালিকায় থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যের ওমর হামিমি প্রায় সাত বছর আগে সোমালিয়ার ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাবে যোগ দেন। তিনি এখন নিয়মিত টুইটার ব্যবহারকারী। ছোটবেলার কোনো ঘটনার মতোই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তিনি আল-শাবাবে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের কৌশলগত বিশ্লেষণ টুইটারে নিয়মিত লিখেন।
সম্প্রতি ইন্টারনেটে ফেসবুক বা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফরমগুলোয় শীর্ষ জঙ্গি সংগঠনগুলোর তত্পরতা বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিভিন্ন ভাষায় ফেসবুক পেজ চালাচ্ছে তারা। তত্পরতা বেশি এমন দেশগুলোয় জনসমর্থন বাড়ানো এবং সদস্য সংগ্রহ করতে সংশ্লিষ্ট ভাষায় ফেসবুকে পেজ কিংবা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত বিভিন্ন বার্তা লিখে যাচ্ছে আল-কায়েদা, আল-শাবাবের মতো ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর নির্ধারিত সদস্যরা।
জঙ্গি তত্পরতা দমনে মার্কিন সন্ত্রাসবাদবিরোধী ইউনিটগুলোর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারও অনেকদিনের। সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফরমগুলোকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে তারা। সার্বিক মনিটরিং, সংশ্লিষ্ট বা সন্দেহভাজন বিশেষ গ্রুপ কিংবা ব্যক্তির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ কিংবা তাদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে নতুন কৌশলগত মাত্রা যোগ করেছে।
উৎসঃ ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০:৪০:৪২ ৬২৯ বার পঠিত