মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৪
আবাসিক হোটেলে শ্বাসরোধে হত্যা
Home Page » প্রথমপাতা » আবাসিক হোটেলে শ্বাসরোধে হত্যাস্টাফ-রিপোটার:বঙ্গ-নিউজ:গুলশান-২ নম্বরে বিলাসবহুল আবাসিক হোটেলের কক্ষে এক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম নজরুল ইসলাম (৪৫)। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ওই কক্ষ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, নজরুল মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসার লেনদেনের জন্য ওই হোটেল কক্ষে গিয়েছিলেন। তার কাছে বিপুল পরিমাণে ইউরো ও ডলার ছিল।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির বলেন, ওই কক্ষে সোমবার দুপুরে নজরুলসহ একাধিক লোকজন গিয়েছিল। তারাই তাকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যার পর কক্ষে রেখে পালিয়ে গেছে। হত্যাকাণ্ডের যথেষ্ট আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া হোটেলের প্রবেশ ও বের হওয়ার সিসি টিভির ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই খুনিরা ধরা পড়বে বলে আশাবাদী এ পুলিশ কর্মকর্তা।
নজরুলের স্বজন টিটু জানান, নজরুলের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। থাকেন রাজধানীর বাড্ডা এলাকায়। নজরুল এখানে একাই থাকতেন। গুলশান-১ নম্বরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম পল্টন মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট। গতকাল দুপুরে গুলশান-২ নম্বরের ৪১ নম্বর রোডে আমারি হোটেলের ৭০১ নম্বর কক্ষ যান তিনি।
হোটেলের পরিচ্ছন্নকর্মীরা জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে তারা ওই কক্ষ পরিষ্কারের কাজে গেলে দরজা খোলা দেখতে পান। ওই কক্ষে ঢুকে নজরুলের দেহটি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওপুর হয়ে মেঝেতে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরিচ্ছন্নকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানায়।
গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, হোটেল রেজিস্ট্রার খতিয়ে দেখা গেছে, আবদুস সালাম নামে এক ব্যক্তি গতকাল দুপুরে ওই কক্ষটি ভাড়া নেন। এরপরই আবদুস সালাম ও নজরুলসহ ওই কক্ষে যান। কক্ষের ভেতরে তারা নজরুলকে হত্যা করে কখন বেরিয়ে গেছে তা টের পাননি কেউ। পুলিশ হোটেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যায়নি। তবে ওই কক্ষ থেকে দুটি ইনজেকশনের সিরিঞ্জ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাইলনের রশি ও বেল্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
রাতে খবর শুনে নিহতের স্ত্রী ডলি আক্তার নরসিংদীর ভাড়া বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে নিহতের এক স্বজন জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় তার স্ত্রীকে এক ব্যক্তি ফোন নম্বর দিয়ে ফোন করে তার স্বামীকে হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার করতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর আবার ওই নম্বর থেকে বলা হয় লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৯:৪৭ ৩৬৮ বার পঠিত