সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৪

মমতার উপর ঢাকার চাপ

Home Page » জাতীয় » মমতার উপর ঢাকার চাপ
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৪



mamata.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃবর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার সূত্র কাজে লাগিয়ে তিস্তা চুক্তিতে রাজি করাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার।সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।

‘ঢাকা টু মাউন্ট প্রেসার অন মমটা অবার জামাত লিংকস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার সূত্র কাজে লাগিয়ে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বাত্মক চাপে রাখার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার। এতে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিরোধিতা থেকে রাজি করানোটা সহজ হবে।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকা সফরে এসে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করতে পারেননি। এমনকি ওই সফরে তিনি মনমোহনের সফরসঙ্গীও হননি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি চুক্তিবিরোধী মমতার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক ফায়দা দেবে।”

জামায়াত সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে মন্তব্য করে প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে জামায়াত সক্রিয়। জামায়াত শেখ হাসিনার ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে কি না-এ ব্যাপারেও তদন্ত করছে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।”

“গত শনিবার জামায়াত তাদের ওয়েবসাইটে অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, বর্ধমান হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গেও তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের নীতি গ্রহণ করেছেন, তখন সে দেশের মাটি বাংলাদেশের জঙ্গিরা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করছে-এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা সংখ্যা আরো বাড়ানোর ও বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা থেকে ত্রিপুরায় বাস চলাচলের প্রস্তারের বিষয় নিয়ে আলোচনা থামিয়ে দিতে পারে। কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এই সড়কটি হলে কলকাতা-ত্রিপুরা পথে পণ্যের পরিবহন খরচ অনেক কমবে।”

“ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফরের সময় ঢাকা-কলকাতা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঢাকার কর্মকর্তারা এখন ট্রেন যাতায়াতের সংখ্যাটি এখনই বাড়াতে চান না।”

প্রতিবেদনের বলা হয, “আগামী নভেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।”

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৯:০৬   ৩৪৮ বার পঠিত