রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৪

অরণ্য সুন্দরী রাঙ্গামাটি

Home Page » ফিচার » অরণ্য সুন্দরী রাঙ্গামাটি
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৪



p_bg_378532009.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ বাংলাদেশে যতগুলো মায়াময় দৃষ্টিনন্দন পর্যটন এলাকা রয়েছে রাঙ্গামাটি তার মধ্যে অন্যতম। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রাকৃতির লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটির উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা-মিজোরাম, দক্ষিণে বান্দরবান, পূর্বে মিজোরাম ও পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি। এ জেলা আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা। নদী ও হ্রদ, উঁচুনিচু পাহাড়ি আকাঁবাকা পথ, সবুজ পাহাড় বেষ্টিত রিকসাবিহীন পর্যটন এলাকা।

কিভাবে রাঙ্গামাটি যাবেন
চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় থেকে রাঙ্গামাটির উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। বিআরটিসির এসি ও ননএসি বাস সার্ভিস, ভাড়ায় চালিত মাইক্রো ও কার রয়েছে। নিজের গাড়িতে এই পথে যাতায়ত না করাই ভালো। করলেও পাহাড়ি পথে গাড়ি চাল‍াতে অভ্যস্ত এমন দক্ষ চালক প্রয়োজন।

রাঙ্গামাটি শহরে পর্যটন করপোরেশন মোটেল ছাড়া প্রাইভেট বিভিন্ন মানের আবাসিক ও খাওয়ার হোটেল আছে। আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে পর্যটন করপোরেশনের আরো একটি নতুন মোটেল চালু হতে যাচ্ছে।
১৩ মার্চ, দুপুর গড়িয়ে সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে তখনি চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ বয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমরা পোর্ট সিটি পরিবারের রোটারিয়ান বন্ধুরা পরিবার পরিজনসহ রওনা দিলাম রাঙ্গামাটির উদ্দেশে।

বাসে পিকনিকের ব্যানার লাগানোর ফাঁকে ফাঁকে আমি, আমাদের ক্লাবের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবু নাঈম ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম একে অপরের ছবি তুললাম।
বাসের ড্রাইভার ভাই আর উনার সহকারীর সাথে কথা বললাম। কতোদিন গাড়ি চালান? উঁচুনিচু পাহাড়ি ঢালা পথে গাড়ি চালানোয় কোনো অসুবিধা হয় কি না? কথা বলে জানলাম আমাদের গাড়ির চালক আর তার সহকারী ভদ্রলোক দু’জনেই চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে নিয়মিত গাড়ি চালায় এবং এই সড়কে গাড়ি চালনায় ও সহযোগীতায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ।

বাস ছাড়ার পর রোটারিয়ান ইব্রাহীম মিন্টু ও রোটারিয়ান ওমর ফারুক দু’জনে মিলে হালকা টিফিন ও খাওয়ার পানি পরিবেশন করলেন। আমাদের ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসান দু’দিন পিকনিকের পুরো পরিকল্পনা সবাইকে জানালেন।

আমাদের ক্লাবের চার্টাড প্রেসিডেন্ট শাকিল মনজুরের খালি গলায় গাওয়া পুরনো দিনের গান আর এর সঙ্গে মনোরম পাহাড়ি সবুজ পথের মোহনীয় হাতছানি, উঁচুনিচু পাহাড়ের ঢালু পথ, কখনো দূরে আবার খুব কাছে সবুজ পাহাড়, চলমান সাপের মতোন আকাঁবাকাঁ পিচঢালা রাস্তা আর মনোরম সব দৃশ্য ও উপজেলা ভোটের মিছিল পেরিয়ে সন্ধ্যার একটু পরেই রাঙ্গামাটিতে আমাদের রাত্রিযাপনের জন্য নির্ধারিত পর্যটন করপোরেশনের মোটেলে একটু আগে বাস থামলো। বাস থেকে নেমে একটু হেঁটে আমরা মোটেলে গিয়ে উঠলাম।

রাঙ্গামাটিতে অনেকবার এসেছি, তবে রাত্রিযাপন করা হয়নি।কিন্তু আজকের পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা সবাই চট্টগ্রাম পোর্ট সিটি রোটারি ক্লাবের সদস্য ও পরিবার পরিজনসহ মোটেলে রয়েছি।

এ এক দারুন আনন্দঘন পরিবেশ। সুউচ্চ সবুজ পাহাড়, বহমান হ্রদ আর প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থিত পর্যটন করপোরেশনের মোটেল। পাহাড়ে রাতের অন্ধকারের মোহনীয় পরিবেশ, চাঁদের আলোয় এর সৌন্দর্য আরো বেড়ে উঠেছিলো। যা বলা যায় না, লেখায় প্রকাশ করা যায় না, এ এক অন্যরকম ভালো লাগা অনুভ‍ূতি। নতুন করে নিজেকে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি।

রাতে খাওয়ার আগে নামাজ পড়ে আমরা কয়েকজন মিলে ঝুলন্ত ব্রিজ পার হয়ে লেকের অপর পাড়ে গেলাম। রাতের লেক আর পাহাড় দুয়ে মিলে মোহনীয় র‍ূপ ধারণ করেছে। এর মধ্যেই আমাদের সাথে এসে যোগ দিল আমাদের ক্লাবের প্রাক্তন প্রেসিডেণ্ট অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যারা। এরা চট্টগ্রাম শহর থেকে আমাদের পরপরই রওয়ানা দিয়েছে।

রাত্রের রাঙ্গামাটি শহর দেখতে আমরা মোটেল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের পথে উঁচুনিচু ঢালু পথ বেয়ে হাঁটলাম। কলা বিস্কিট আর চা খেলাম। ফেরার পথে পাহাড়ির রাস্তা বেয়ে উঠতে গিয়ে হাঁটার প্রতিযোগিতা হয়ে গেলো এক চোট।

মোটেলে রাতে খাবার পর্ব শেষ করে রাতের মূল আর্কষণ লটারিপর্ব শুরু হলো। সবাই পুরস্কার পাওয়ার আশায় লটারির টিকিটের একটি অংশে নির্ধারিত বক্সে ফেলল। দারুন টান টান উত্তেজনা। ছেলে মেয়েরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়। শিশুদের দিয়ে এক এক করে টিকিট ওঠানো হচ্ছে আর ঘোষণার সাথে সাথে সবাই যার যার টিকিট নম্বর মিলিয়ে নিচ্ছে। পরপর তিনটি টিকিট তোলা হলো পুরস্কার পাওয়া সবাই দারুন উচ্ছ্বসিত।

এখন চতুর্থ টিকিটের নম্বর ঘোষণা হলো আর সেটা আমার। মুহুর্মুহু করতালি আর আনন্দ উচ্ছ্বাসের মাঝে লটারি পর্ব শেষ হলো।

রাত সাড়ে দশটা, হঠাৎ রেজা ভাই ঘোষণা করলো এখন আমরা মোটেলের পিছনে ফায়ার ক্যাম্প করবো। পাহাড়ের সুনসান নীরবতার মাঝে কয়েকটি মরা শুকনো কাঠের লাকড়ি খাড়া দাঁড় করিয়ে সেখানে আগুন দেওয়া হলো। গানের তালে তালে নাচ হলো। চা পরিবেশিত হলো ।সব মিলিয়ে দারুন এক আনন্দঘন পরিবেশ রাতের পাহাড় জুড়ে।

সূর্য ওঠার আগে পূর্বের আকাশে যখন আলোর রেখা ফুটে উঠছিলো, পাখির মধুময় গুঞ্জরণ আর কলকাকলিতে ভরপুর রাঙ্গামাটি নিরিবিলি পাহাড় আর লেক দুয়ে মিলে সবুজে ভরা প্রকৃতির অপরূপ সাজ যেন পৃথিবীতে এ এক শান্তির আলয়। মোটেলের পিছনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলাম সবুজ পাহাড় ও লেকের চোখ জুড়ানো দৃশ্য, বৃক্ষরাজির মায়া মাখামাখি আর পাহাড় ঘেরা লেকের মায়াবীরূপ।

বিভিন্ন ধরনের পাখির কিচিমিচির ও সুললিত আওয়াজ এর মাঝে হঠাৎ একটা কাকের কর্কশ ডাক আমার সুন্দর সকালের সবুজ পাহাড় দেখা আর পাখির গান শোনায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটালো। কি আর করা পিছনের বারান্দা থেকে উঠে সামনের দিকে আসলাম।

মোটেলের দোতলার সামনের অংশে বিশাল লম্বা বারান্দা। ছেলে মেয়েরা সবাই ইচ্ছেমতো দৌঁড়াদৌড়ি করছে। রোটারিয়ান বন্ধু ফারুকের দুই ছেলে ও আমাদের ক্লাবের সেক্রেটারি রেজাউল করিম আনন্দচিত্তে ফুটবল খেলছিলো আর আমাদের রোটারিয়ান বন্ধুরা অনেকে নাচের তালে শরীরচর্চায় নিমগ্ন।
যেন সারা বাংলাদেশে চলমান টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে গাওয়া এর সেই বিখ্যাত ‘ফ্লাশ মব’ ‘চার ছক্কা হই হই ,বল গড়াইয়া গেলো কই’ উচ্ছ্বাস আর আনন্দ উপস্থিত সবার মাঝে।

সামনের লাগানো গাছে হলদে ফুলের সৌন্দর্য ও সবুজে ভরা। আমাদের ক্লাবের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নুরুল হুদা ও পিপি এ এইচ এম ফেরদৌস সবাইকে তাগাদা দিচ্ছেন সকালের নাস্তা খেতে যাওয়ার জন্য। খুব তাড়াতাড়ি তৈরি হতে হবে কিছুক্ষণের মধ্যে আজকের দিনের মূল আকর্ষণ নৌকায় করে লেকে ভ্রমণ। গন্তব্য শুভলং এর বাজার আর ফেরার পথে পেডা টিংটিং এ দুপুরের খাবার।

আমরা সবাই যথাসময়ে রাঙ্গামাটির সেই আর্কষণীয় বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রিজ এর ঘাটে গেলাম। ঘাটে অপেক্ষায় দেখলাম অনেকগুলো ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা যেগুলো যাত্রী নিয়ে বিশাল লেকে পাড়ি জমাবে। ধন্যবাদ দিতে হয় যিনি আমাদের এই পিকনিকের পুরো আয়োজনের অন্যতম কাণ্ডারী বর্তমান ক্লাব সেক্রেটারি রেজাউল করিম।

সারাদিন ভ্রমণের জন্য বিশাল এক কাঠের তৈরি দোতলা ট্রলার ভাড়া করা হয়েছে, যাতে অনায়াসে ১৫০ জন লোক ভ্রমণ করতে পারে। আমরা সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে ট্রলারের তুলনায় নগণ্য যাত্রী। সবাই আনন্দচিত্তে ঐ কাঠের বড় ট্রলারে উঠে পড়লাম। যথারীতি কথা বললাম চালক ও তার সহকারীদের সাথে। চালকের বাড়ি বরিশাল এর সহকারী একজনের বাড়ি রাঙ্গামাটিতে অন্যজনের বাড়ি চন্দনাইশ।

২য় দিনের যাত্রা শুরু। ট্রলারে করে আমাদের যাত্রা শুরু। শাকিল মনজুর এবং এ এইচ এম ফেরদৌস এর দরাজ গলায় গান আর চারপাশের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্যমণ্ডিত ঝুলন্ত ব্রিজ পিছনে রেখে আমরা শুভলং এর পথে। ক্লাবের চার্টাড প্রেসিডেন্ট শাকিল মঞ্জুর গাইছিলেন আর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন-

‘উত্তুন ফেগে মেঘে মেঘে
মেঘলা দিবা তলে
মোউ পরান আন জেদো মাগে
তারা লগে লগে….!!!’

লেকের দু’পাশে পাহাড়ের পাদদেশে মাটিতে বহমান পানির প্রাকৃতির নিজের তৈরি অংকন ও সবুজ মায়াময় গাছগুলোর পাশ দিয়ে যেতে যেতে যে দৃশ্য চোখে পড়ে তা দেখে চোখ ফেরানো প্রায় অসম্ভব। ঘন সবুজের আভরণে আবৃত পাহাড়ের সবুজ আর লেকের স্বচ্ছ পানি যে কাউকেই মুহূর্তেই বানিয়ে দেবে প্রকৃতিপ্রেমী। লেকের দুপাশের প্রকৃতির অপরুপ রুপ আর পাহাড়ী সবুজ ও হ্রদে ভ্রমণ সব মিলে ভ্রমণপ্রিয় মানষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় স্থান রাঙ্গামাটির এই লেকে ভ্রমণ।

আজ আবারও নতুন করে উপলদ্ধি করলাম ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে রাঙ্গামাটি কেন এতো প্রিয় একটি স্থান। ভ্রমণকে ফ্রেমবন্দি করার জন্য কিছু ছবি তুললাম।

পাহাড়ী কলা, তরমুজ, পেঁপে ও আনারস নিয়ে সারি সারি নৌকা আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। নৌকার যাত্রীদের মাঝে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও বাঙালিসহ বাইরের অনেক পর্যটক ও ব্যাবসায়ী রয়েছেন। রাঙ্গামাটির পাহাড়ী অঞ্চলে ইদানিং পেঁপে, আনারস, কলা, তরমুজ আরও নানা ধরনের ফলের চাষ হচ্ছে।

শুভলং এর পথে আমরা যাত্রাবিরতি করলাম পেডা টিংটিং এ। এই জায়গার নাম শুনেছি অনেকবার, আগে কখনো আসা হয় নাই। চারদিকে পানি আর ছোট্ট টিলার মতোন জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি সাজানো ছিমছাম পরিষ্কার পরিছন্ন খাওয়ার হোটেল। আমাদের দুপুরের খাবারের মেনু ঠিক করে দিয়ে শুভলংএর পথে রওনা হলাম।

শুভলং বাজারে গিয়ে সবাই কেনাকাটা করলো। বিখ্যাত নানান রসালো স্বাদের রস টসটসে মিষ্টি খেল। নানা রংয়ের কারুকাজ করা চাকমা মেয়েদের হাতে তৈরি কাপড় কিনলাম। আমরা ঝটপট কিছু ছবিও তুলে নিলাম।

ভীষণ ক্ষিদে পেয়েছে, এবার ফেরার পালা। আসার পথে আবার পেডা টিংটিং আমাদের বোট ভীড়ল। ব্যস্ততাহীন সময় কাটানোর একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে পেডা টিংটিং নামক জায়গাটি।

আমাদের খাবার তৈরি, হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে সবাই খেতে বসলাম। মেনুগুলোর মধ্যে দুটো খাবার অসাধারণ ছিলো তার একটা হলো ‘বেম্বু চিকেন’ আর একটি হলো তাজা কুচো কুচো পেঁয়াজ মিশ্রিত ছোট ছোট পাহাড়ি কাচঁকি মাছের ভুনা। ‘বেম্বু চিকেন’ ভোজন রসিকদের রসনাবিলাসের জন্য অনন্য একটা রান্না। পেঁয়াজ কাটা ও মসলা সমৃদ্ধ ছোট ছোট করে কাটা মুরগীর মাংস জোড়া বাঁশের ফালিতে করে টেবিলে পরিবেশন করা হলো। আমরা ত‍ৃপ্তি করে খেলাম। বলতে হয় ভোজন রসিকরা এখানে খাবার গ্রহণের পর তৃপ্তি নিয়েই ফিরবেন।

সময় ফুরিয়ে আসছে। ফিরতে হলো আবার রাঙ্গামাটিতে। ইচ্ছে হলো আরো কয়েকদিন থাকতে। কেন ফিরে যাবো সেই ইট-সুড়কির যান্ত্রিক শহরে?
রোদেলা দুপুর। সময় ৪টার ও কিছু পরে। সূর্য দক্ষিণ থেকে আলো ছড়াচ্ছিল। আমাদের বাস রওনা হলো চট্টগ্রামের পথে। রূপের রাণী, অপরূপা, লাবণ্যময়ী, মনোমুগ্ধকর, মধুময়, চোখ জুড়ানো ও ঐশ্বর্য্যময়ী এমন অনেক বিশেষণে ডাকা যায় সবুজ পাহাড় ও লেক বেষ্টিত পর্যটন এলাকা অরণ্য সুন্দরী রাঙ্গামাটিকে।

প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।

আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৪:৫৮   ১৩২৭ বার পঠিত