শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৪
Home Page » প্রথমপাতা »
ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি ক্যাটাগরি-৫ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর। আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার।
‘হুদহুদ’ শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৪০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কি. মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৪০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলো ঝড়ো হাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যায় ৩৫টি মোবাইল টিম নিয়োগ করেছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
গত বুধবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’। এরপর এটি ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দফতর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘হুদহুদ’ প্রস্তাব করে ওমান।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০২:১১ ৪৩৮ বার পঠিত