বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০১৪
ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন আর নেই………………
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন আর নেই………………নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন আর নেই। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
এর আগে গত শুক্রবার থেকে তিনি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে না পারায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে জানান বিএসএমএমইউর নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
গত ২৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় স্ট্রোক করেন আবদুল মতিন। পরে তাকে প্রথমে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ২৬ আগস্ট তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত সোমবার স্ত্রী গুলবদন নেসা আবদুল মতিনের মরণোত্তর দেহদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দেহদানের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
তিনি আরো জানান, প্রায় ১০ বছর আগেই আবদুল মতিন দেহদানের সিদ্ধান্ত দেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের জন্য মরণোত্তর দেহ দান করেন আবদুল মতিন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া লিখিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আমি আবদুল মতিন, বাবা মৃত আবদুল জলিল, মা মৃত আমেনা খাতুন, স্বেচ্ছায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় আমার মরণোত্তর সম্পূর্ণ দেহ বা লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গের শিক্ষার্থীদের এনাটমি ও ফিজিওলজি ইত্যাদি শেখার কাজে লাগবে জেনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাজে এবং সন্ধানীকে চক্ষু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও মেয়েদের সম্মতি রয়েছে। কাজেই মৃত্যুর পরে আমার মৃতদেহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করার জন্য আমার স্ত্রী ও মেয়েদের নির্দেশ দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আবদুল মতিনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবদুল মতিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আবদুল মতিন ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার একটি ছোট্ট গ্রাম ধুবালীয়ায় এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুল জলিল এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। তিনি ছিলেন তাদের প্রথম সন্তান। জন্মের পর তার ডাক নাম ছিল গেদু।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৪:০৮ ৩৭৭ বার পঠিত