রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বিহারের ‘দলিত’ মুখ্যমন্ত্রী ফিরতেই মন্দির শুদ্ধিকরণের নির্দেশ

Home Page » এক্সক্লুসিভ » বিহারের ‘দলিত’ মুখ্যমন্ত্রী ফিরতেই মন্দির শুদ্ধিকরণের নির্দেশ
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪



manjhi_pti-380.jpgবঙ্গ-নিউজ ডট কম:পাটনা: অঞ্চলের মানুষের আমন্ত্রণে ঐতিহ্যশালী দেবস্থানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার প্রস্থান হতে না হতেই তড়িঘড়ি ধুয়েমুছে ‘সাফ’ করতে হলো মন্দির। ‘পবিত্রতা রক্ষার্থে’ স্নান করানো হলো বিগ্রহদের। তবে এর জন্য জনতা অথবা মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির।।রোববার রাজধানী পাটনা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে মধুবনি জেলার পরমেশ্বরিস্থান মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান মিটে গেলে সপার্ষদ বিদায় নেন জিতেন রাম। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় এলাকাছাড়া হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা মন্দির চত্বর ধুয়ে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। যুক্তি, নিম্নবর্গ মহাদলিত সম্প্রদায়ের সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর পদার্পণে দেবস্থান অপবিত্র হওয়ায় তা দ্রুত সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়ে। একই কারণে স্নান করিয়ে শুদ্ধ করা হয় মন্দিরের বিগ্রহদের।

কথাটা অবশ্য শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, মন্দির কর্তৃপক্ষের কীর্তি তার কানে পৌঁছে দিয়েছেন বিহার মন্ত্রিসভার শীর্ষ সদস্য রামলখন রাম রমন। তবে জাত-পাতের এহেন বিচারে দৃশ্যত অপমানিত বোধ করেননি মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি। তার বক্তব্য, ‘মানুষকে আমি দোষ দেব না কারণ এই বিশ্বাস একান্তই তাদের ব্যক্তিগত। এটা শ্রেণীবৈষম্য নয়, জাত-পাতের পার্থক্যের বিষয়।’

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে নির্বাচনে ভরাডুবির পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার ঘনিষ্ঠ জিতেন রাম মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসায় তার দল জেডিইউ। পিছিয়ে পড়া মহাদলিত সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ার সুবাদে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে নিম্নবর্গীয় মানুষের উন্নয়নে নিজেকে নিযুক্ত করেছেন মাঝি।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর কানে মন্দির পরিষ্কার করার খবর তোলেলনি বলে এদিন দাবি করেছেন মন্ত্রিসভার আরেক দলিত মন্ত্রী রামলখন রাম রমন স্বয়ং। তার বক্তব্য, ‘বিষয়টি আমি আদৌ জানতাম না।’

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৪:৩৫   ৩৪১ বার পঠিত