শনিবার, ১১ মে ২০১৩

পুঁজিবাজারে ১৩০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন করবে সরকার

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » পুঁজিবাজারে ১৩০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন করবে সরকার
শনিবার, ১১ মে ২০১৩



images1111.jpgবঙ্গ-নিউজ ডেস্কঃ  দেশের পুঁজিবাজারে চলমান সঙ্কট উত্তরণে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারদের ১,২৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পুনঃঅর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই টাকার মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ৬৩৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্টক ব্রোকাররা ৫৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) স্টক ব্রোকাররা ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পাবে। ১০ শতাংশ সুদসহ ৩ বছরের মধ্যে পুনঃঅর্থায়নের অর্থ ফেরত দেয়ার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি অথবা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বা কোন সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এ অর্থ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে বলে জানা গেছে। গত ২৪ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পুনঃঅর্থায়নের প্রস্তাবে সম্মতি দেন। এরই আলোকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে এ বিষয়ে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের ঘোষিত প্রণোদনার অংশ হিসেবেই পুনঃঅর্থায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম বাংলাদেশ ব্যাংককে লেখা চিঠিতে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা প্রদানের প্রতিশ্রুতি সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে দেয়া হয়েছিল। তাই এ প্রতিশ্রুতি পূরণ করা না হলে পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা সম্পূর্ণভাবে ফিরে আসবে না। এতে আরো বলা হয়, পুঁজিবাজারে চলমান তারল্য সঙ্কটের অনেকাংশেই পূর্বের মন্দ ঋণের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পুনঃঅর্থায়নের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশপত্রে বলা হয়ছে, স্কিম প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের আবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য ৯১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ডিএসই’র স্টক ব্রোকারদের জন্য ৫৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের স্টক ব্রোকারদের জন্য ৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকাসহ মোট ১,৫৪১ কোটি ২৭ লাখ টাকা পুনঃঅর্থায়ন প্রয়োজন।তবে আইসিবি, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, অগ্রণী ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট ও জনতা ক্যাপিটাল ইতিমধ্যে প্রণোদনার অংশ হিসাবে ২৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। এজন্য পুন:অর্থায়নের জন্য প্রদেয় ১,৫৪১ কোটি ২৭ লাখ টাকা থেকে ২৭৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বাদ দিয়ে ১,২৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩২:২২   ৪৮২ বার পঠিত