শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪
মাত্র ২ জন পাস, ঢাবির ইংরেজিতে ভর্তির শর্ত শিথিল হচ্ছে
Home Page » এক্সক্লুসিভ » মাত্র ২ জন পাস, ঢাবির ইংরেজিতে ভর্তির শর্ত শিথিল হচ্ছেবঙ্গ-নিউজ ডট কম:ঢাকা: নজিরবিহীনভাবে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র দু’জন পাস করায় নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ভর্তির শর্ত শিথিল করতে যাচ্ছে ঢাবি ইংরেজি বিভাগ।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এই বিভাগের মাত্র ২ জন উত্তীর্ণ হওয়ায় শর্ত শিথিল করে আসন পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই বিভাগের শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা ১২৫টি। ঢাবি ইংরেজি বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিল এবার নতুন করে যে ইলেক্টিভ ইংরেজি উত্তর দেয়ার যে শর্ত যুক্ত করেছিল তা বাতিল করছে। কারণ, মাত্র ১৭ জন ছাত্র ইলেক্টিভ ইংরেজিতে উত্তর দিয়েছিল। দু’ একদিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে পরীক্ষায় ‘সাধারণ ইংরেজিতে’ ২০ নম্বর পাওয়ার পাশাপাশি ‘ইলেক্টিভ ইংলিশে’ ১৫ নম্বর পাওয়ারও নতুন শর্ত আরোপ করে ইংরেজি বিভাগ। হঠাৎ করে প্রশ্নপত্রে মৌলিক পরিবর্তন আনায় বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ কারণেই এবার বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী ফেল করে।
এ প্রসঙ্গে ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন বলেন, প্রশ্নপত্র মোটেই কঠিন হয়নি। শিক্ষার মান কমে যাওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ইংরেজি বিভাগে গত কয়েক বছর ধরে যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। যারা ইংরেজি বিভাগে পড়তে চায় তাদের একটি লিখিত পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করা হলেও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি এতে সম্মত হয়নি। এজন্য ‘সাধারণ ইংরেজিতে’ ২০ নম্বর পাওয়ার পাশাপাশি ‘ইলেক্টিভ ইংলিশে’ ১৫ নম্বর পাওয়ারও নতুন শর্ত আরোপ করা হয়।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন শর্ত আরোপের ফলে পরীক্ষার্থীরা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন। ফলে বিভাগ পছন্দের ক্ষেত্রে এক ধরনের সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হয়েছে।
কেউ ইংরেজিতে পড়তে চাইলে তাকে ইলেক্টিভ ইংলিশের উত্তর দিতে হবে এটা বাধ্যতামূলক করা হয়। এক্ষেত্রে বাংলা বিষয়ের উত্তর বাদ দিতে হবে। কিন্তু বাংলার উত্তর বাদ দিলে শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে না।
আবার বাংলা ও ইলেক্টিভ ইংলিশ উভয় বিষয়ের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে না। এতে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ইলেক্টিভ ইংলিশের প্রশ্নপত্রও অনেক কঠিন হয়েছে।
তাদের মতে, কর্তৃপক্ষের এ শর্তের কারণেই ইংরেজি বিভাগে মাত্র ২ জন পরীক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৭:০২ ৩৮৬ বার পঠিত