বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

মধ্যপ্রাচ্যের স্বর্ণ ভারতে পাচারের কেন্দ্র বাংলাদেশ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মধ্যপ্রাচ্যের স্বর্ণ ভারতে পাচারের কেন্দ্র বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪



image_74148_0.jpgডেস্ক রিপোর্ট,
মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালানে বাংলাদেশ মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি চোরাচালানের মাত্রা যে কোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।বুধবার সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়।
বাংলাদেশের কাস্টমস গোয়েন্দা প্রধান মাঈনুল হোসাইন জানান, তার গোয়েন্দা টিম দেশের প্রধান দুটি বিমানবন্দর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের বার উদ্ধার করছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে এ সব স্বর্ণ ভারতে পাচার করা হয়।
তিনি জানান, গত বছরের জুলাই থেকে গোয়েন্দারা ৬২৩ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। অথচ এর আগের পাঁচ বছরে এর পরিমাণ মাত্র ১৫ কেজি।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ভারত ২০১৩ সালের এপ্রিলে স্বর্ণ আমদানির ওপর করের পরিমাণ বাড়ালে বাংলাদেশ হয়ে এই চোরাচালান বেড়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দামি এই ধাতব চোরাচালানের সবচেয়ে সহজ রুটে পরিণত হয়। স্বর্ণের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক ভারতে পরবর্তীতে এগুলো পাচার করা হয়ে থাকে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ স্বর্ণ আমদানির ওপর করের পরিমাণ বাড়িয়ে ২০ গুণ করে যা অনেকটা ভারতের আরোপিত করের সমান। কিন্তু এরপরেও চোরাচালানের প্রবণতা লাগাম টেনে ধরা যায়নি।
কাস্টমস কমিশনার হোসাইন আহমেদ বলেন, বিমানবন্দরে ধরা পড়া স্বর্ণ বিশাল চালানের সামন্য অংশ। চোরাচালানের এসব স্বর্ণ ভারতের সঙ্গে থাকা আড়াই হাজার কিলোমিটারের স্থলসীমান্ত দিয়ে পাচার হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- বৈধ এবং অবৈধভাবে যেসব স্বর্ণ বাংলাদেশে আসে তা শেষ পর্যন্ত ভারতে পাচার হয়।’
কর্মকর্তারা বলেন, কড়াকাড়ি আরোপের ফলে অনেক স্বর্ণ চোরাচালান আটকের পরিমাণ বেড়েছে।
তবে চোরাচালানের উদ্দেশ্য যেটাই হোক, এতে লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ, উদ্ধার হওয়া এসব স্বর্ণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৬:৩৭   ৩৭৫ বার পঠিত