বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪
দুদক তলব করেছে ৯ পুলিশ কর্মকর্তাকে
Home Page » জাতীয় » দুদক তলব করেছে ৯ পুলিশ কর্মকর্তাকেবঙ্গ-নিউজ ডট কম:রাজধানীর রামপুরায় স্বর্ণের বার আত্মসাতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, গতকাল দুদকের উপপরিচালক ও স্বর্ণের বার আত্মসাতের ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা যতন কুমার রায় এ ৯ জনকে দুদুক কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ পাঠিয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা, অপরাধ ও তথ্য বিভাগের পরিদর্শক মো: ফজলুল হক, খিলগাঁও জোনের এসি মো: ইকবাল হোসেন, এসআই এ এন এস নুরুজ্জামান, মাসুদ মিয়া, রাশেদুল ইসলাম।
গত ১৩ মার্চ সোর্স রনির তথ্যের ভিত্তিতে এসআই মঞ্জুরুল, কনস্টেবল আকাশ ও ওয়াহেদুল বনশ্রী এলাকা থেকে একটি গাড়ি জব্দ করেন। তবে সেই গাড়ির আরোহীরা পালিয়ে যায়। গাড়ি তল্লাশি করে ২৩৫টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশ স্বর্ণগুলো জমা না দিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে রামপুরা থানার পুলিশ কর্মকর্তারা বিপাকে পড়েন। পরে ১৬ মার্চ কৌশলে প্রাইভেট কারের সিটের মধ্যে ৭০টি স্বর্ণের বার লুকিয়ে রেখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তা উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়।
পরে প্রাইভেট কারের চালক সমীর বিশ্বাস ও স্বর্ণের বাহক জাহিদ হোসেন ওরফে মাহিনকে আটক করে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। দুই দিনের রিমান্ডের পর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দী দেন তারা। জবানবন্দীতে মাহিন জানান, তারা ২৩৫টি স্বর্ণের বার নিয়ে বনশ্রী এলাকা থেকে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা গাড়িটি ফেলে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এসআই মঞ্জুরুল, কনস্টেবল আকাশ ও ওয়াহেদুলকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধেমামলা দায়ের নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে দুদকের অনুমতিসাপেে রামপুরা থানায় ৭ এপ্রিল রাতে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। দুদকের কর্মকর্তা এম এ রশিদ মামলাটি ঢাকার সিএমএম আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তা দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৬:২১ ৩৩৮ বার পঠিত