বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪
চণ্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে আহবান করা হলো
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » চণ্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে আহবান করা হলোতমালসাহাঃনিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গ-নিউজঃচণ্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তির বিনাশকারী দেবী দুর্গাকে আহবান করা হয়েছে। জগতের সকল রকম দুঃখ, কষ্ট আর যন্ত্রণা লাঘব করবেন তিনি। দূর করবেন অশান্তি। পাপ। অন্ধকার ভেদ করে জেগে উঠবে আলো। পুণ্যের সন্ধানে ছুটবে মানুষ। শস্যভাণ্ডারে ভরে উঠবে শ্যামল মাঠ। এই আহ্বান জানিয়ে সারাদেশে ম-পে ম-পে অনুষ্ঠিত হলো মহালয়া। আগমন ধ্বনি বেজে উঠল দেবী দুর্গার।
মঙ্গলবার সকালে শুভ মহালয়ার ঘট বসেছে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের কেন্দ্রীয় পুজোমণ্ডপে মহালয়ার ঘট বসানো হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো। সনাতন সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, অশুর শক্তি বিনাশকারী দেবী হলেন দুর্গা। তাঁর অর্চনার মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে। যেমনি দেবরাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ বলেন, মহালয়ার ঘট ভোরে বসানো হয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত কৃষ্ণপক্ষ ছিল। এরপর শুরু হয় শুক্লপক্ষ। দেবীপক্ষের শুরুতে সকাল ১০টার দিকে ঢাকেশ্বরীতে মহালয়ার ঘট বসানো হয়েছে। তবে মহালয়ার মূল অনুষ্ঠান আজ বুধবার ভোরে হবে। ভোর ছয়টায় চণ্ডীপাঠ ও ভক্তিমূলক সঙ্গীত দিয়ে দেবীকে স্মরণ করা হবে।শারদীয় দুর্গাপুজোর গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মহালয়া। শ্রীশ্রী চণ্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত আর এই চণ্ডীতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশান্তি। এবার ৩০ সেপ্টেম্বর পুজোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মহালয়ার মধ্য দিয়ে বেজেছে দুর্গাপুজোর আগমনধ্বনি।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। এছাড়াও ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ষষ্ঠী পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে ভক্তিমূলক গানের আয়োজন করা হয়েছে। এক অক্টোবর বুধবার মহাসপ্তমী। এদিন সকাল ৮টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও কল্পারম্ভ। এছড়াও দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, সন্ধ্যায় আরতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ২ অক্টোবর মহা অষ্টমীতে সন্ধি পুজো ও মধ্যাহ্নে মহাপ্রসাদ বিতরণ। একই দিন মহা ধূমধামে রামকৃষ্ণ মিশনসহ বিভিন্ন মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা।
এছাড়া তিন অক্টোবর মহা নবমীর ৬টা ৫৪ মিনিটে কল্পারম্ভ শুরু হবে, মহানবমী বিহিত পুজো অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা ২৩ মিনিটের মধ্যে দেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন। চার অক্টোবর শনিবার দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে বিজয়া শোভাযাত্রা। প্রতিদিন পুজো শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতির আয়োজন তো আছেই। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৭:৩৭ ৪৩৩ বার পঠিত