রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪
গণজারণের আর আবেদন নেই: মেনন
Home Page » জাতীয় » গণজারণের আর আবেদন নেই: মেননবঙ্গ-নিউজ-ঢাকা: যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের এখন আর আবেদন নেই বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
শনিবার বিবিসির সংলাপে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চূড়ান্ত রায়ের পর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভে পুলিশি হামলার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মেনন বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চ এখন তিন ভাগে বিভক্ত। মানুষের মধ্যে গণজাগরণ মঞ্চের সেই অ্যাপিল আর নেই।”
গত বছর গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলনের সমর্থক মেননের দল ওয়ার্কার্স পার্টির সহযোগী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী গণজাগরণ মঞ্চে সক্রিয় ছিল। তবে সাঈদীর চূড়ান্ত রায়ের পর শুক্রবার শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের যে তিনটি অংশ আলাদা সমাবেশ করেছিল, তার একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু।
গণজাগরণের প্রতিষ্ঠাকালীন মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বাধীন অংশের অভিযোগ, সরকারের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আঁতাতের ফল হিসেবে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে।
বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের এই পর্বে প্রথম প্রশ্ন ছিল সাঈদীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের পর ওঠা সরকার-জামায়াত আঁতাতের প্রশ্ন নিয়ে।
রাশেদ খান মেনন সরকার-জামায়াত আঁতাতের প্রশ্ন নাকচ করে দিয়ে জানান, আপিল বিভাগের রায়ে তিনি ‘বিস্মিত’ হননি। তিনি বলেন, “কোর্ট এর আগেও এ ধরনের আচরণ করেছে। গোলাম আযমের নাগরিকত্ব নিয়ে যখন সারা দেশে আন্দোলন চলছে, তখন জন্মসূত্রে নাগরিক এই প্রশ্নে কোর্ট নাগরিকত্ব দিয়েছে।” তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল, মানুষের প্রত্যাশা বিবেচনা করা। যেকোনো আদালতেরই উচিত বাস্তবতা বিবেচনা করা।”
প্রত্যাশা, না কি আইন দেখে রায় দেয়া উচিত- এই প্রশ্নে সংসদ সদস্য মেনন বলেন, “আইনের বইতে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে দেখতে গেলে অনেক রায়ই দেয়া যাবে না।”
বিবিস সংলাপের এই পর্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরো ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, কলামিস্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নুজহাত চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৫৩:৫৬ ২৪৩ বার পঠিত