শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪
‘নির্যাতনের’ প্রতিবাদ করে হোস্টেলছাড়া সাত ছাত্রী
Home Page » শিক্ষাঙ্গন » ‘নির্যাতনের’ প্রতিবাদ করে হোস্টেলছাড়া সাত ছাত্রীবঙ্গ-নিউজঃঢাকা: ‘শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে’র প্রতিবাদ করায় রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের দুটি হোস্টেল থেকে ছাত্রলীগের সাত কর্মীকে মেরে বের করে দিয়েছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা- এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই সাতজনকে বের করে দেয়া হয় বলে জানান ‘নির্যারতিত’ ছাত্রীরা। তাদের মধ্যে কলেজের ১ নম্বর হোস্টেলের ছাত্রী একজন ও ৩ নম্বর হোস্টেলের ছয়জন। তারা হলেন- ইরফাত ইমামী মৌরি (চতুর্থ বর্ষ),জাফরিন বেগম (চতুর্থ বর্ষ), উম্মে হাবিবা তমা (তৃতীয় বর্ষ), নুরশাদ জাহান নিপা (তৃতীয় বর্ষ), রুবাইয়া আমিন (তৃতীয় বর্ষ), মাসুদা বেগম (তৃতীয় বর্ষ) ও লাবনী রায়।
হোস্টেল থেকে বের করে দেয়া কর্মীদের কয়েকজন নতুন বার্তা ডটকমের কাছে অভিযোগ করেন, কলেজ শাখার সভাপতি সুপর্ণার সঙ্গে চার বছর ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছেন। এ সময়ে সুপর্ণা তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। কখনো কখনো ছাত্রলীগের প্রোগ্রামের নামে বিভিন্ন জায়গায় অহেতুক বসিয়ে রাখেন তাদের।”
তারা আরো অভিযোগ করেন, “পরীক্ষা থাকলেও আমাদের প্রোগ্রামে যেতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন সভাপতি।”
প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো বলে অভিযোগ করে ওই ছাত্রীরা বলেন, “সর্বশেষ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমরা ছাত্রলীগ করব না বলে সিদ্ধান্ত নিই। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষ ও হোস্টেলের শিক্ষকদের জানাই। সভাপতিকেও জানাই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা লাঠি, রড ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে আমাদের মেরে হল থেকে বের করে দেয়।”
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে হোস্টেল সুপার সহকারী অধ্যাপক মাহমুদা সুলতানা রত্না জানান, সাত ছাত্রীকে বের করে দেয়ার কথা তিনি শুনেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সভাও হয়েছে। শুক্রবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্য ন্ত ওই সাত ছাত্রী হোস্টেলে ফিরতে পারেননি বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে জানা গেছে, বুধবার রাতে এক ছাত্রীকে একটি কক্ষে সিট দেয়া নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ওই সাতজনের সঙ্গে সভাপতি ফারজানা আক্তার সুপর্ণার ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে সভাপতির হাতে আঘাত লাগে বলে জানা গেছে।
পরে সেখানে হোস্টেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা গেলে পরিবেশ শান্ত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা একজোট হয়ে ওই সাত কর্মীকে বের করে দেন।
তবে সভাপতিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হোস্টেল থেকে বের করে দেয়া এক ছাত্রলীগ কর্মী। তিনি দাবি করেন, “সুপর্ণা আপুর সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পলি আপুর মারামারি হয়েছিল। তখন সুপর্ণা আপুর হাত ভেঙেছে। এখন তারা একজোট হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”
ওই ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, “আমরা হলে বৈধ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের ছাত্রত্ব শেষ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন সভাপতি সুপর্ণা আপু। আমাদের হোস্টেল থেকে বের করে দিয়েছেন। এখন আমরা কোথায় যাব?”
এ বিষয়ে জানতে ফারজানা আক্তার সুপর্ণার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১:০৭:১৬ ৩৩১ বার পঠিত