মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪

শাহবাগে সন্ধ্যায় অবস্থান নেবে গণজাগরণ মঞ্চ

Home Page » সারাদেশ » শাহবাগে সন্ধ্যায় অবস্থান নেবে গণজাগরণ মঞ্চ
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪



image_98521_0.jpgকাঞ্চন বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ ঢাকা: জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের চূড়ান্ত রায়কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শাহবাগে অবস্থান নেবে গণজাগরণ মঞ্চ।মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রথমে শাহবাগে মিছিল বের করবেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এরপর অবস্থান নেবেন জাতীয় জাদুঘরের সামনে।

তিনি জানান, রাত কয়টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে তা নির্দিষ্ট না হলেও বুধবার সকাল আটটা থেকে পুনরায় শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। চলবে আপিলের রায় না হওয়া পর্যন্ত।

ডা. ইমরান বলেন, “আমরা আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পুনরাবৃত্তি করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। কারণ তিনি যে অপরাধ করেছেন তার একমাত্র সাজা হতে পারে ফাঁসি।”

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপিল বিভাগের কজলিস্টে বুধবারের এক নম্বর আইটেম হিসেবে সাঈদীর রায় ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাচঁ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।বেঞ্চের অন্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে সাঈদীর মামলাটি সিএভিতে রাখেন আপিল বিভাগ।

মামলার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পাচঁ মাসের মাথায় রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হলো।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ছয়জনের ব্যাপারে করা আপিলের মধ্যে সাঈদীর মামলাটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

এর আগে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার আপিল নিষ্পত্তি করে রায় কার্যকর করা হয়েছে।

গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এর এক মাস পর ২৮ মার্চ আপিল করে উভয়পক্ষ।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান।

অপরদিকে আসামিপক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। তাদের সহযোগিতা করেন তাজুল ইসলাম ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন প্রমুখ।

সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে ট্রাইব্যুনাল রায়ে উল্লেখ করেন। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়, আর ছয়টিতে কোনো দণ্ড দেয়া হয়নি। প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১২টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩৩:৫৪   ৩৩৯ বার পঠিত