সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

নিয়ম না মেনে বন্দরে ঢুকছে বিদেশী জাহাজ!

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » নিয়ম না মেনে বন্দরে ঢুকছে বিদেশী জাহাজ!
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪



mongla-bondor4-311x186.jpgবঙ্গ-নিউজঃনিয়মবহির্ভূতভাবে মংলা সমুদ্রবন্দরে আনা হয়েছে ‘এমভি সিনো গ্রেস’ নামে ২২১ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি বিদেশি জাহাজ। বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া-২ এলাকায় ২০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যরে জাহাজ আনার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয়নি।অভিযোগ উঠেছে, মংলা বন্দরের হারবার বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী মোটা অঙ্কের অর্থ্যের বিনিময়ে এবং শিপিং এজেন্টের সহযোগিতায় এমনটা করেছে। জাহাজটি ঘোরানোর সময় ১২ সেপ্টেম্বর এটির আঘাতে ডুবে যায় ‘হাজেরা-১’ নামে একটি কার্গো জাহাজ। যা এখনও উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।

জাহাজটিতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বন্দরের পশুর চ্যানেল হুমকির মুখে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

মংলা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ২৬ হাজার ৬০০ টন ক্লিঙ্কার নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর মংলা বন্দরে আসে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি সিনো গ্রেস’।

জাহাজটির দৈর্ঘ্য ২২১ দশমিক ২৭ মিটার, যা শিপ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘ইউএফএস মেরিন’ তাদের ঘোষণাপত্রে জাহাজটির দৈর্ঘ্য ২০০ মিটার উল্লেখ করেছে।

বন্দর সূত্র আরো জানায়, নিয়ম অনুযায়ী মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় আসতে পারবে সর্বোচ্চ ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজ। কিন্তু ‘এমভি সিনো গ্রেস’ জাহাজটি ২২১ মিটার দৈর্ঘ্যের হলেও সেটি মংলা বন্দরে আসার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি নেয়নি। শিপিং এজেন্ট জালিয়াতি করে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে জাহাজটির দৈর্ঘ্য কম দেখিয়েছে।

মংলা বন্দর ব্যবহারকারী হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল পরিবর্তনকে বলেন, “এ অঞ্চলে একটি মাত্র সমুদ্রবন্দর। এ বন্দরে জালিয়াতি করে অতিরিক্ত দৈর্ঘ্যের জাহাজ আনার বিষয়টি তদন্ত করে বন্দর কর্তৃপক্ষের অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

তবে এমভি সিনো গ্রেস জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স ইউএফএস মেরিনের সত্বাধিকারী একে আজাদ বলেন, “বিশ্বে এখন আর ২০০শ মিটার দৈর্ঘ্যরে নীচে ছোট জাহাজ পণ্য আমদানির জন্য জাহাজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া ছোট এবং বড় জাহাজে খরচ প্রায় সমান তাই জাহাজ মালিকেরা ছোট জাহাজ চালাচ্ছেনা।”

মংলা বন্দর ভিত্তিক শিল্পকারখানা চালু এবং এ বন্দর সচল রাখতেই একটু বেশী দৈর্ঘ্যে জাহাজে আমাদের নিজের ফ্যাক্টরীর জন্য ক্লিংকার আমদানি করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার আক্তার হোসেন বলেন, “শিপিং এজেন্টের বার্থিং এ ২০০ মিটার জাহাজ ঘোষণা দিয়েছে সেই ঘোষণা অনুসারেই ওই জাহাজটি বন্দরের ঢোকানো হয়েছে।”

বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর এইচ আর ভূইয়া পরিবর্তনকে বলেন, “এই রকম একটি ঘটনা আমি শুনেছি এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে জাহাজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ডাকা হয়েছে।”

“ঘটনা তদন্ত করে দোষী যেই হোক এমন কি আমার বন্দরের কেউ জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে” বলেন কমডোর এইচ আর ভূইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৮:৫৫   ১৬০৪ বার পঠিত