সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশে পোশাক কারখানার দুর্দিন

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » বাংলাদেশে পোশাক কারখানার দুর্দিন
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪



gar.jpgবঙ্গ-নিউজঃবাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশে অন্তত ২০০ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেকার হয়েছে ৮৪ হাজার পোশাক শ্রমিক। আরো অন্তত ২০০ কারখানা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, বন্ধ হওয়া কারখানার মধ্যে ২০ শতাংশ হচ্ছে শিফট হওয়া, ৪০ শতাংশ ‘শেয়ার্ড বিল্ডিং’ কারখানা। বাকী কারখানাগুলো সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা কারখানা।
তবে এর মধ্যে ভালো মানের কারখানা ৫ শতাংশেরও কম।
সর্বশেষ ১ সেপ্টেম্বর মিরপুরে ‘ইমাকুলেট প্রাইভেট লিমিডেট’ নামের গার্মেন্টসটি বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। এর কয়েকদিন আগে একই মালিকের আরো একটি কারখানাও বন্ধ হয়ে যায়।
বিজিএমইএ জানায়, গত ঈদের আগে বন্ধ হয়েছে ২০টি পোশাক কারখানা যা বিজিএমইএ জানে না বা বিজিএমইএকে জানানো হয়নি।
তাই বাস্তবে বন্ধ হওয়া পোশাক কারখানার সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। তবে ঢাকায় বন্ধ করে গাজীপুর-আশুলিয়ায় একই নামে আবার কারখানা চালু করছেন অধিকাংশ মালিক৷
কারখানা বন্ধের পাশাপাশি নতুন কারখানা করার হারও কমছে। ২০১৪ সালে ৮০টি, ২০১৩ সালে হয়েছে ১৪০টি আর ২০১২ সালে ২০০টি কারখানা নতুন করে স্থাপন করা হয়েচে।
বর্তমানে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত সাড়ে তিন হাজার কারখানা চালু রয়েছে যদিও বিজিএমইএর সদস্য কারখানার সংখ্যা ৫,৭৫১ জন।
কারখানা বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘‘কারখানা বন্ধ হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে৷ এক নম্বর কারণ হচ্ছে রানা প্লাজা ধসের প্রভাবে ক্রয় আদেশ কমে যাওয়া।’
এছাড়া ‘অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের’ কারখানা পরিদর্শন, শেয়ার্ড বিল্ডিং কারখানা থাকার কারণে ক্রেতারা অর্ডার না দেওয়া, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির কারণে মালিকরা কারখানা চালাতে না পারা এসব কারণেও কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
শহীদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘আমাদের হিসেবে রানা প্লাজা ধসের পর থেকে ২১৮টি গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে৷ যেসব কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোর বেশিরভাগই ছোট ও মাঝারি আকারের এবং প্রত্যেক কারখানায় ৩০০-৮০০ শ্রমিক কাজ করতেন।’
তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে গার্মেন্ট রপ্তানি ১.৬ শতাংশ কমে গেছে৷তবে এ সময় নিটওয়্যার রপ্তানি বেড়েছে ৫ শতাংশ। যদিও গত অথবছরের একই সময়ে এ খাতে রপ্তানি বেড়েছিল ১২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১,১৩৮ জন মারা যাওয়ার পর থেকে ইউরোপ ও আমেরিকার ২০০ ক্রেতার পক্ষ থেকে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নামের দুটো প্রতিষ্ঠান প্রায় ১,৭০০ গার্মেন্ট পরিদর্শন করেছে৷ এর মধ্যে অ্যাকর্ড ১,১০০ এবং অ্যালায়েন্স ৬০০ কারাখানা পরিদর্শন করে।
তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে অনেক গার্মেন্ট ব্যাপক সংস্কার করতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫১:৪৩   ৩৩৬ বার পঠিত