বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৩

৫ ও ৬ই মে’র ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় অ্যামনেস্টি

Home Page » প্রথমপাতা » ৫ ও ৬ই মে’র ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় অ্যামনেস্টি
বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৩



amnesty.jpgগত ৫ ও ৬ই মে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে তারা বলেছে, রোববার এবং সোমবার প্রথম প্রহরে মতিঝিলে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে অ্যামনেস্টি নিশ্চিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পাঠানো সংস্থার এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ই মে হেফাজত ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন, নারী উন্নয়ন নীতি বাতিল এবং মহানবীর অবমাননার অভিযোগ এনে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু আন্দোলনের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তবে ওইসব সংঘর্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও পরিস্কার নয়। বরং এ নিয়ে নানা মহল থেকে নানারকম তথ্য দেয়া হচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা জনসমক্ষে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উপ-পরিচালক পলি ট্রাস্কট। তিনি বলেন, টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে, বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে, দোকানপাট জ্বালিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশও টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং বুলেট ছুঁড়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত দুজন পুলিশ সদস্য এবং একজন বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ৫ই মের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও ৬ই মে প্রথম প্রহর মতিঝিল এবং ওইদিন অন্যান্য স্থানে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে পুলিশ নীরব। গণমাধ্যম এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং অন্যান্য সূত্র থেকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ৫ ও ৬ই মে’র ঘটনায় সাধারণ নাগরিক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৪৪ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে চরম সহিংসতাপূর্ণ উল্লেখ করে বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি ও নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে তাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তারা কারো ওপর জোর জবরদস্তি করবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, নিতান্ত বাধ্য না হলে অর্থাৎ নিজেদের জীবন রক্ষার্থেই কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, অন্যথায় নয়।
Share this:

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪০:৪৯   ৪৮৮ বার পঠিত