শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

গাজা যুদ্ধে পরাজয়ের পর ভেতরে বাইরে বিপর্যস্ত ইসরাইল

Home Page » প্রথমপাতা » গাজা যুদ্ধে পরাজয়ের পর ভেতরে বাইরে বিপর্যস্ত ইসরাইল
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪



abc_benjamin_netanyahu_jt_140720_16x9_992.jpgবঙ্গ-নিউজঃদখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় ৫০ দিনের যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর তাদের নিরাপত্তা ও সামরিক অঙ্গনে বিপর্যয় শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। ইসরাইল গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধে জেতার জন্য জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নেয়া নারী ও শিশু হত্যাসহ সব রকম সামরিক পন্থা ব্যবহার করেও শেষ পর্যন্ত চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি।এদিকে গাজায় যুদ্ধাপরাধের কারণে বিশ্বব্যাপী ইসরাইল ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা, ক্ষোভ ও সমালোচনা তীব্রতর হয়েছে। বিভিন্ন দেশে ইসরাইলি পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে। গাজায় চাপিয়ে দেয়া তৃতীয় যুদ্ধে ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধের নানা দিক যতই প্রকাশ পাচ্ছে ততই ইসরাইলের ভেতরে ও বাইরে সংকট ও সমালোচনা জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসরাইলের বহু রাজনৈতিক ও সামরিক কর্তাব্যক্তিরা এখন আর উপরের নির্দেশনা মানছেন না।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা ইউনিটের রিজার্ভ ৪৩ সেনা যারা কিনা বর্তমানে গুপ্তচর বৃত্তির কাজে নিয়োজিত তারা গতকাল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তারা লিখেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা আর অংশ নেবেন না। এই ৪৩ সেনা কর্মকর্তা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। চিঠিতে তেল আবিবের এই চৌকস ইউনিট গুপ্তহত্যা চালানোসহ লাখ লাখ ফিলিস্তিনির মানবাধিকার বিনষ্ট করার তৎপরতায় জড়িত থাকার ফাঁস করে দিয়েছে। চিঠিতে তারা ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে কাজ চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ইসরাইলের গোয়েন্দা ইউনিটের এসব রিজার্ভ সেনা প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধকামী নীতিরও বিরোধিতা করেছেন।

ইসরাইলি সেনারা ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গাজায় ৫০ দিনের যুদ্ধে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছিল হামাসের সামরিক শক্তিকে নির্মূল করা এবং তাদের নেতাদের আত্মগোপনের স্থান ধ্বংস করাই ছিল যুদ্ধের উদ্দেশ্য। কিন্তু যুদ্ধের পর দেখা গেল ইসরাইলি সেনারা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে এবং এভাবে ইসরাইল ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ করেছে। ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ ও নৃশংসতার মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে তাদের মিত্ররাও সমালোচনা করতে বাধ্য হয়েছে।

হামাসের অস্ত্র ধ্বংস করার কথা বলে ইসরাইল গাজায় ৫০ দিন ধরে যুদ্ধ করলেও তারা কোনো লক্ষ্যেই পৌঁছতে পারেনি। আমেরিকার সর্বাত্মক সাহায্য সমর্থন নিয়ে যুদ্ধে জেতার জন্য ইসরাইল হামাসকে চাপে রাখতে বহু নিরীহ মানুষ হত্যা করেও তারা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। এ যুদ্ধে আবারো প্রমাণিত হয়েছে, ইসরাইল অপরাজেয় নয়।

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হামাসের সামরিক শক্তি সম্পর্কে জানতে না পারায় এবং হামাসের টানেলগুলো ধ্বংস করতে ব্যর্থ হওয়ায় সামরিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে এবং তারা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৫:৪৮   ৩৫৭ বার পঠিত