শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
এন শামসুন সুমি এর অগ্রন্থিত লেখাবলি “অভাবে থাকুক অভাব “
Home Page » সাহিত্য » এন শামসুন সুমি এর অগ্রন্থিত লেখাবলি “অভাবে থাকুক অভাব “রজনী আর অংকন , ভালোই তো ছিল ওরা দুজনে। অভাবের সংসার টেনে হেঁচড়ে চলত।
তারপর বেশ কয়েক বছর ওদের সাথে আর কোন দেখা সাক্ষাৎ নেই। তবে শুনেছিলাম, অংকন কোন এক শিপিং কোম্পানির মালিক হয়ে গেছে, রজনীও বেশ নাম ডাক করেছে বুটিক হাউস খুলে।
পরশু রাতে অংকন দাওয়াত দিতে ফোন করেছিল, পুরনো বাড়িটা বিক্রি করে ওরা নতুন বাড়ি কিনেছে আমাদের এলাকায়।
কথা দেইনি যাবো কিনা, তবে শুনে খুব খুশি হই।
গত সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছি-
পরপর দুই বার ফোন এলো একই নাম্বার থেকে। ড্রাইভ করছিলাম। ধরতে পারিনি। তৃতীয় ফোনটাও এলো একই নাম্বার থেকে। ধরলাম। ওপাশ থেকে অফিসার বলে উঠলেন- ” তুমি কি অংকন খন্দকার’কে চেন ? একটু পুলিশ প্রিসেন্টে আসতে পারবে ?
আমি রজনী’কে ফোন দেই। ধরেনি।ওদের বাসায় ফোন দিলাম, তাঁদের বেবিসিটার ধরে বলল- আপা রাত ১ টার আগে বাড়ি ফিরেনা।
আমি চিন্তায় পড়ে যাই।
ভাবতে ভাবতেই পুলিশ প্রিসেন্টে গিয়ে হাজির হলাম।
অংকন দুপুর থেকে কোন এক বারে বসে ড্রিঙ্ক করতে করতে বেহুশ হয়ে পরলে, সেখানকার ম্যনেজার পুলিশ কল করে। অংকনের ফোন থেকে রিসেন্ট ডায়াল করা সকল নাম্বারে পুলিশ কল করে একমাত্র আমাকেই পায়। নিরুপায় হয়ে বন্ধু- আত্মীয় হবার নাম লিখিয়ে অংকনকে বাসায় নামিয়ে দেই।
অংকনের সাথে রাস্তায় আমার আর তেমন কথা হয়না।
একটু আগে, অংকন ফোন করে থ্যাংকস জানালো। আমি হুম বলার পর আর কিছু বলতে পারলামনা।জানতে ইচ্ছে করেনা এসব এলোমেলো জীবনের কাহিনী।
তবে এতটুকু বুঝি, অভাব ভালো জিনিস। মানুষ নিজের সমস্যা সামলাতে সামলাতে জীবনকে সামলে রাখে। কয়েক বছর আগে,ওরা দুজনে অভাবের সংসারে ঘরে ফিরে কুতকুত খেলত, সেই ভালো ছিল। যেদিন থেকে অভাব পালিয়েছে, সেদিন থেকেই শুরু হয়েছে ঘরের বাহিরের নাটক।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩২:১১ ৩৮২ বার পঠিত