বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪
সংসদের ভেতর বাবলু ও রাঙ্গা-তাজুলের দ্বন্দ্ব
Home Page » জাতীয় » সংসদের ভেতর বাবলু ও রাঙ্গা-তাজুলের দ্বন্দ্ববঙ্গ-নিউজঃজাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এখন সংসদ ভবনে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংসদ লবিতে দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঙ্গে সদ্য-অপসারিত প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজুল ও রাঙ্গার হাতাহাতির উপক্রম হয়েছিল।আর এসব ঘটেছে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সামনেই।
জানা গেছে, জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংসদে বিরোধী দলের লবিতে গণ্ডগোলে জড়ান সদ্য-অব্যাহতি পাওয়া দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজুল ও রাঙ্গা। এ সময় তাদের মধ্যে তুমুল বিতণ্ডা হতে থাকে। অশ্লীল বাক্যবিনিময় ছাড়াও হাতাহাতির উপক্রম ঘটে দুই পক্ষে। বাবলুকে মারতে তেড়ে যান এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা। তার সঙ্গে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলামও ছিলেন।
তবে তাদের মধ্যকার গণ্ডগোল হাতাহাতির রূপ নেয়ার আগেই দলের অন্য সংসদ সদস্যরা মাঝে এসে তাদের থামিয়ে দেন।
জানা যায়, জাপার চেয়ারম্যান এরশাদ, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়াউদ্দিন বাবলু বিকালে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন। কিছুক্ষণ পর মশিউর রহমান রাঙ্গা ও তাজুল ইসলামও তাদের পেছনের সারিতে নিজেদের আসনে বসেন। তবে রাঙ্গা ও তাজুলের সঙ্গে এরশাদের কোনো কথা হয়নি, কেউ কারও দিকে তাকানওনি।
মাগরিবের নামাজের বিরতির সময় বিরোধী দলের লবিতে (১ নম্বর) বাবলুকে পেয়ে তার বিরুদ্ধে রাঙ্গা ও তাজুল ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সেখানে উপস্থিত জাপার একাধিক নেতার কাছ থেকে জানা যায়, এ সময় বাবলুকে উদ্দেশ করে রাঙ্গা বলেন, “আপনি তো এখন অনেক বড় নেতা হয়ে গেছেন, উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। যখন-তখন যে কাউকে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন, অব্যাহতি দিচ্ছেন। আপনি আমার এলাকার কমিটি ভেঙে দিলেন, এগুলো কেন করছেন?”
জবাবে বাবলু কিছু জানেন না জানালে রাঙ্গা উত্তেজিত কণ্ঠে বাবলুকে গালাগাল করেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এমনকি রাঙ্গা চিৎকার করে বলেন, “রংপুরে আমি দল চালাই, আমার টাকায় দল চলে। সেখানে নাকি আমার ছবি পোড়ানো হচ্ছে। আমিও এরশাদের ১০০ ছবি পোড়াব।”
রাঙ্গার সমর্থনে তখন এগিয়ে যান তাজুল ইসলাম। তিনি বাবলুকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনি আজ প্রেস কনফারেন্সে আমাকে যুদ্ধাপরাধী বলেছেন। বিরোধী দলের উপনেতা হতে না পেরে আপনি এসব করছেন।”
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হলে দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে এ নিয়ে এরশাদ তার সংসদ ভবন অফিসে ব্যারিস্টার আনিস, বাবলুসহ কয়েকজনকে নিয়ে কথা বলেন বলে জানা গেছে। রাঙ্গা ও তাজুলের বিরুদ্ধে এরশাদ আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৫:২১ ৩১৬ বার পঠিত