বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪
খালেদা জিয়া হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত
Home Page » জাতীয় » খালেদা জিয়া হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিতবঙ্গ-নিউজ:জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
দুপুর ১টার দিকে খালেদা জিয়ার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে পৌঁছান। এ সময় আদালতের বাইরে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আদালত প্রাঙ্গনে আগেই মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল নিস্পত্তির অপেক্ষায় থাকার খালেদার আইনজীবীরা ইতোমধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করে সময়ের আবেদন করেছেন।
এদিকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ পরিচালক হারুনুর রশিদ খান ও মো. মোহাম্মদ ইবরাহিমও সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন।
এর আগে বুধবার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। এদিন খালেদা জিয়াকে সশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারিক আদালত।
মামলা দু’টি বিচারাধীন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ বাসুদেব রায়ের আদালতে। ঢাকা মহানগরের বকশিবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালত ভবনে এ বিচার চলছে।
গত ২৭ জুলাই আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে খালেদাকে আদালতে হাজির হতে মৌখিক নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
চার্জ গঠন করা হয় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর আট আসামির বিরুদ্ধেও।
ওই দিন খালেদার উপস্থিতিতে মামলা দুটির চার্জ শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় ও বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
পরে এ মামলায় অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা এবং অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। উভয় আবেদনই হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। পরে আপিল বিভাগে এ বিষয়ে চারটি আবেদন করে খালেদা জিয়া।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খান।
২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন পান। পরের বছরের ১৭ জানুয়ারি খালেদা জিয়া ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জামিননামা দাখিল করেন।
মামলায় অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০১:২০ ৩৭০ বার পঠিত