মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
মহানবীর (সা.) রওজা মোবারক স্থানান্তরের উদ্যোগ
Home Page » এক্সক্লুসিভ » মহানবীর (সা.) রওজা মোবারক স্থানান্তরের উদ্যোগ হাসান মাহমুদ,বঙ্গনিউজ-মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র রওজা মোবারক অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার এক বিতর্কিত উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব।
মুসলমানদের নিকট পবিত্র কাবা শরীফের পরই দ্বিতীয় পবিত্রতম স্থান হচ্ছে মহানবীর রওজা মোবারক।
মদীনায় তার রওজা মোবারক জিয়ারত করতে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়।
সৌদি আরবের শিক্ষাবিদরা এখন রওজা মোবারকটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে চান বলে খবর বেরিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, অনেক মুসলমান এই রওজা মোবারককে ঘিরে শিরকে জড়িয়ে পড়েছেন।
ইসলামে শিরক বা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা হারাম।
ব্রিটেনের ইন্ডিপেনডেন্ট ও মেইল পত্রিকা জানায়, মহানবীর রওজা মোবারক অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য ৬১ পৃষ্ঠার একটি ডকুমেন্ট পবিত্র এ স্থাপনার সুপারভাইজারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে।
এতে মহানবীর রওজা মোবারক বর্তমান স্থান থেকে সরিয়ে জান্নাতুল বাকিতে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেখানে মহানবীর রওজা মোবারক কোনটি তা চিহ্নিত থাকবে না।
ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. ইরফান আল-আলাবি বলেন, ‘হজ ও ওমরা পালনকারীদের চোখের সামনে থেকে এ রওজা মোবারক দূরে সরিয়ে রাখতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তারা মনে করে যে এটা শিরক বা পৌত্তলিকতা।’
তিনি বলেন, লোকজনকে বিরত রাখার একটাই উপায় আর তা হচ্ছে মহানবীর রওজা মোবারকে মানুষের দৃষ্টির বাইরে রাখা।
এ ব্যাপারে সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ, যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রওজা মোবারকের ‘জিম্মাদার’ বলা হয়, অথবা রওজা মোবারকের ওপর স্থাপিত মসজিদ-উন-নববীর রক্ষণাবেক্ষণকারীরা এই উদ্যোগে সম্মতি দিয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।
সৌদি সরকার দাবি করেছে যে তারা পবিত্রতম দুটি স্থানের উন্নয়নকাজের ক্ষেত্রে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ বজায় রাখেন।
সৌদি সরকারের ওয়াহাবি মতবাদের সংস্কার কার্যক্রম হিসেবে মহানবীর রওজা মোবারক অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে শিয়া ও সুন্নী মুসলমানরা এ ধরনের উদ্যোগের বিরোধিতা করবেন।
ড. আলাবি বলেন, মূলধারার সুন্নী মুসলমানদের পাশাপাশি শিয়ারাও মহানবীর রওজা মোবারক জিয়ারত করে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এটা জানতে পারলে মুসলিম বিশ্ব মর্মাহত হবে। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হবে।’
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৬:১২ ৪৯৪ বার পঠিত