শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০১৪
সৌরজগতের আরো গভীরে মানুষ পাঠানোর রকেট তৈরি হচ্ছে
Home Page » বিজ্ঞান-প্রযুক্তি » সৌরজগতের আরো গভীরে মানুষ পাঠানোর রকেট তৈরি হচ্ছেহাসান মাহমুদ,বঙ্গনিউজ-স্পেস শাটল বা মহাকাশফেরি কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার পর থেকে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা বেশ সমস্যায় পড়েছিল। এবার নতুন প্রজন্মের রকেট সেই দুর্বলতা কাটাতে পারে।২০১৮ সালে প্রথম বার মহাকাশে পাড়ি দেবে এই রকেট। পোশাকি নাম ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ বা এসএলএস। এর একটি সংস্করণের ওজন প্রায় প্রায় ৭০ মেট্রিক টন। এর ধাক্কায় প্রায় ১৩০ মেট্রিক টন মহাকাশে পাঠানো যাবে, যেমনটা এতকাল সম্ভব ছিল না।বিপুল শক্তিতে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে দ্রুত মহাকাশের গভীরে নিয়ে যেতে পারবে এই রকেট। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এই প্রথম সৌরজগতের আরো গভীরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে মানুষ।তবে শুধু শক্তিশালী রকেট থাকলেই চলবে না, চাই বহুদূর যাওয়ার উপযুক্ত মহাকাশযানও। তাই আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ‘ওরিয়ন মাল্টিপার্পাস ক্রু ভেহিকেল’ নামের যান তৈরির কাজ চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই সেটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে।এসএলএস রকেটের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে। এর মধ্যে বেশ অগ্রগতি ঘটেছে। তবে ২০১৮ সালের নভেম্বরের আগে রকেটটি আকাশে উড়াবার উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে নাসা।গত ৪০ বছরে নাসা এত বড় আকারের ‘হেভি লিফট লঞ্চ ভেহিকেল’ তৈরি করেনি। প্রথম এর তিনটি সংস্করণ তৈরি করতে প্রায় ১,২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বলে নাসা অনুমান করছে।তবে যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ সরকারি ব্যয়ের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার দায়িত্বে রয়েছে, সেই জিএও নাসার এই প্রকল্পের সমালোচনা করেছে।তাদের অভিযোগ, নাসার ‘কনস্টেলেশন’ নামের বাতিল হয়ে যাওয়া একটি প্রকল্প থেকে হার্ডওয়্যার নতুন প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে। নাসা জানিয়েছে, তারা এই অভিযোগের জবাব দেবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২০:২৫ ৪০৬ বার পঠিত