মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০১৪

ঝিনাইদহে অসময়ের তরমুজ ঝুলছে মাচায়!

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ঝিনাইদহে অসময়ের তরমুজ ঝুলছে মাচায়!
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট ২০১৪



image_68216_0.jpgডেস্কঃবাংলার মানুষ জানে তরমুজ মৌসুমি ফল। সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। অসময়ের এই তরমুজের চাষ হচ্ছে ঝিনাইদহের গান্না ইউনিয়নের গান্না-পাইকপাডা এলাকায়। এতে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন।কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর আলাউদ্দিন নামের এক কৃষক মাত্র এক বিঘা জমিতে এ তরমুজের চাষ করেন। থাই জাতের তরমুজ চাষে ওই কৃষকের ফলন বেশ ভালো হয়েছিল। আবার বিক্রি করেও ভালো আয় করেন। তাই দেখে এবার ওই এলাকার অনেক কৃষক তরমুজের চাষ করেন।
তাঁদেরও ফলন ভালো হয়েছে। অসময়ের তরমুজ হওয়ায় তাঁরা মূল্যও ভালো পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল রমজান মাসে। এখনো ওই এলাকার কৃষকের খেতের মাচায় ঝুলছে তরমুজ।গান্না-পাইকপাডা গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, খেতের পর খেতে তরমুজ। মৌসুমে চাষ হওয়া তরমুজ মাটিতে হয়, আর অসময়ের এই তরমুজ চাষ হয় মাচায়। বেশির ভাগ কৃষকের তরমুজ বিক্রি হয়ে গেছে। এখনো যাঁদের খেতে তরমুজ রয়েছে, তাঁরা দু-এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন।পাইকপাডা গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে তিনি এ তরমুজের চাষ করেছেন। গত জুন মাসের শেষ দিকে তিনি তরমুজের বীজ বপন করেন। এখন তাঁর মাচায় তরমুজ ঝুলে আছে। অল্প দিনের মধ্যে বিক্রি করবেন। তিনি জানান, ৫০ গ্রাম বীজে এক বিঘা চাষ করা যায়।
তিনি ১৩ হাজার টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম বীজ কিনেছিলেন। এই বীজ থেকে দুই বিঘা জমিতে প্রায় দুই হাজার ৭০০ গাছ হয়েছে। গাছে তরমুজ আছে প্রায় তিন হাজার। তিনি জানান, বীজ কেনার পাশাপাশি অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তাঁর প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর এই তরমুজ বেচে তিনি দেড লাখ টাকা উপার্জন করবেন বলে আশা করছেন। একই গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান জানান, একটি গাছে চার-পাঁচটি তরমুজ আসতে পারে। সবগুলো রেখে দিলে তরমুজের আকার ছোট হয়ে যায়। এ কারণে তাঁরা দুটি করে রেখে বাকিগুলো ভেঙে ফেলেন।গান্না-পাইকপাডা গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন। গত বছর মাত্র এক বিঘা জমিতে চাষ করে এলাকায় সাডা ফেলে দেন। এবার তাঁর দেখাদেখি ৩০-৩৫ জন কৃষক প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। তিনি জানান, তাঁর শ্বশুরবাড়ি চুয়াডাঙ্গার গাডাবাড়িয়া গ্রামে।
ওই গ্রামে এ তরমুজের চাষ হতে দেখে নিজ এলাকায় এসে চাষ করেছেন। এখন চাষের পরিমাণ বাডছে।গান্না ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, এই তরমুজের চাষ লাভজনক। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে এত লাভজনক ফসল আর নেই। তাই কৃষকেরা এর চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো চাষ হচ্ছে। তিনি বলেন, তরমুজটি অসময়ে বাজারে পাওয়া যাওয়ায় ক্রেতারাও উপকৃত হচ্ছেন। কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা এস এম রাকিবুল হাসান বলেন, তরমুজ মানুষের শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই রয়েছে তরমুজে। তরমুজের মৌসুমে মানুষ এগুলো পেয়ে থাকে। সেটা অসময়ে পেলে বাডতি পাওয়া বলা যায়

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫০:০৩   ৪২৮ বার পঠিত