শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০১৪
নেএকোনার বারহাট্টা পারি তৃণমুল মানুষের আত্ব নির্ভরশীলতা –তমাল সাহা
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » নেএকোনার বারহাট্টা পারি তৃণমুল মানুষের আত্ব নির্ভরশীলতা –তমাল সাহা- তমালসাহাবঙ্গ-নিউজডেস্কঃঘুরে এলাম বারহাট্টা দেখে এলাম তৃণমুল মানুষের আত্ব নির্ভরশীল হওয়ার উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড । কথা বললাম সমাজ পরিবর্তনের জন্য সমাজে নিজেদের প্রতিষ্টিত হওয়া ও আত্ব মর্যাদা প্রতিষ্টার জন্য অক্রান্ত পরিশ্রম করা মানুষ গুলির সাথে । শুধু নিজে নয় সবাই মিলে ভাল থাকতে হবে । মানুষের মধ্যে নৈতিকতা মানবিক ও ধর্মীয় মৃল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে । সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্টা করতে হবে । সকলে মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহন, অংশগ্রহন ও গনতন্ত চর্চার মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে হবে এবং ভবিষ্যত নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে। সুন্দর মানুষ ও সুন্দর সমাজ সৃষ্টি করতে হবে এমন মনোভাব তখনই গড়ে উঠে যখন মানুষের মধ্যে অংশীদারিত্ব ও মালিকানাবোধ সৃষ্টি হয় এবং এর জন্য উৎসাহ ও উদ্ধিপনা আত্ববিশ্বাস সৃষ্টি ও সহযোগিতার মাধ্যমে কোন না কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টানকে অনুঘটকের দায়িত্ব পালন করতে হয় । যারা এই অনুঘটকের দায়িত্ব পালন করে চলেছে কথা হলো তাদের সাথে এই অনুঘটকের গুরুত্ব পৃর্ণ ভৃমিকা যারা পালন করে চলেছে তারা আর কেউ নয় তা হলো একটি বেসরকারী উন্নয়ন মুলক প্রতিষ্টান যার নাম পারি ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট সংস্থা । পারি ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট সংস্থা উপলদ্ধি করে চলেছে যতদিন মানুষ নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে নিজে জাগ্রত না হবে যতদিন তার মধ্যে একতা বদ্ধ হয়ে অংশগ্রহন মুলক উন্নয়ন কাজ করে আত্বনির্ভরশীল হওয়া ও সমাজে তার মর্যাদা প্রতিষ্টার জন্য নিজেরা কাজ না করবে ততদিন তাদের উন্নয়ন সম্ভব নয় । আত্বনির্ভরশীল হয়োর জন্য একটি নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত দক্ষ করে তোলার জন্য সহযোগিতা দেওয়া পরে যখন নিজেরা সকল দায়িত্ব নিয়ে নিজেরা সব পরিচালনা করতে পারবে তখন তাদের উপর সব ছেড়ে দিয়ে পারি সংস্থা অন্য জায়গায় কাজ করবে । ” পারি” তিন ধাপে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে । তারা ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রথমে ২০-২৫ জন দরিদ্র মানুষ নিয়ে প্রাথমিক দল গঠন করে উক্ত দল গুলিকে পরিচালনা করার জন্য প্রতি দল হতে দুইজন সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি সামাজিক কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে এবং পরে প্রত্যেক কেন্দ্রীয় হতে তিন জন প্রতিনিধি নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে একটি জনসংগঠন তৈরী করে। এভাবে জনসংগঠনের মাধ্যমে এলাকার দরিদ্র ও অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পরা মানুষরা তাদের ভাগ্য উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হচ্ছে আলাপ হলো বারহাট্টা সৌরভ উন্নয়ন সংঘের নেত্রী মিনা রানীর সাথে তিনি বললেন আগে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারতাম না । মেয়ে মানুষ বলে পরিবারে এবং সমাজে আমাদের মূল্যায়ন করতো না । আমরাও যে কিছু করতে পারি এটা জানতাম না । এখন পারি সংস্থা হতে জে-ার, নেতৃত্ব উন্নয়ন, হাসমুরগী পালন সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষন পেয়ে সচেতন হয়েছি। বর্তমানে আমরা না বুঝে কোন কিছুতে স্বাক্ষর করিনা । পৃর্বে আমরা কোন সভা বা সেমিনারে কোন কথাই বলতে পারতাম না । বর্তমানে আমরা যে কোন সভা , সেমিনারে দীর্ঘ সময় বক্তব্য দিতে পারি। বর্তমান মাঠ ব্যবস্থাপক নিকসন চন্দ্র দাস আমাদেরকে সবসময় একটি উদাহরন দিয়ে অনুপ্রাণিত করে বলেন ছোট একটি পিপড়া যদি দীর্ঘ্য সময় পরিশ্রম করে দীর্ঘ্যদিনের সঞ্চয় জমা করতে পারে আমরা কেন সমাজ থেকে এত পিছনে পরে থাকবো । বর্তমানে আমরা সমাজের বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত । সমাজের বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন মুলক কাজের সাথে আমরা জড়িত আর এর পিছনে সমস্ত অবদান রয়েছে পারি ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট সংস্থার । তাই আমি প্রথমেই পারি ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট সংস্থাকে আপনাদের মাধ্যমে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাধ জানাচ্ছি । মিনা রানী আরো বলেন বর্তমানে আমি বারহাট্টা একা মিনা নয় আমার মতো পারি সংস্থা হাজার মিনা তৈরী করেছে। জনসংগঠনের নেতা হিরন মিয়া বলেন আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে চিড়াম ইউনিয়নে একটি সামাজিক লাইব্রেরী প্রতিষ্টা করেছি। উক্ত সামাজিক লাইব্রেরী উদ্ভোধন অনুষ্টানে পারি ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট বারহাট্টা ফিল্ড অফিসের মাঠ ব্যবস্থাপক নিকসন চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন । বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উক্ত ইউনিয়নের চেয়াম্যান সাহেব, বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক বৃন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, ও সমাজের নেতৃবৃন্দ । উপস্থিত সকল অতিথিগন এটাকে একটি মহৎ উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করেন । আগে কলেজ ও স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় বসে আড্ডা দিত বর্তমানে তারা সবাই সেই সামাজিক লাইব্রেরীতে বসে বই পড়ার অভ্যাস করছে। ফলে তাদের জ্ঞান বাড়ছে এবং খারাপ মনোভাব পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে এলাকার মানুষ মনে করছে সামাজিক লাইব্রেরী হওয়ার ফলে দৃষ্টিহীনের দৃষ্টি খুলছে। সেজন্য তারা সবাই পারি ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট সংস্থাকে ধন্যবাধ জানান। কথা হলো বারহাট্টা ফিল্ড অফিসের মাঠ ব্যবস্থাপক নিকসন দাসের সাথে তিনি বলেন আমি পারি সংস্থার সাথে কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্যমনে করছি। কারণ পারি মানুষের মধ্যে যে, সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে সেই প্রতিভার মাধ্যমে বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ,অর্থনৈতিক ও পরিবেশ সংরক্ষন বিষয়ে আত্বনির্ভরশীল হওয়ার যে কৌশল তা পারি সংস্থা শিক্ষা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে সংস্থার মাধ্যমে গ্রামের গরিব মানুষদের জন্য আমি কিছু করতে পেরে খুবই আনন্দিত। ফিল্ড সুপারভাইজার সনদ সাহা বলেন আমি পৃর্বে অনেক সংস্থায় কাজ করেছি। বর্তমানে পারি সংস্থায় এসে আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি বর্তমানে মানুষের জন্য কিছু করতে পারবো । কারন এই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের জন্য কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ফিরার পথে সাহতা ইউনিয়নের আদর্শ ফার্মার হেলিম মিয়ার সাথে কথা হয় । সে বলেন পারি সংস্থা আমাকে কেচো কম্পোষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করেন । সংস্থা হতে আমি প্রশিক্ষন পেয়ে কেচো কম্পোষ্ট তৈরী করি । আমার এই কেচো কম্পোষ্ট দেখার জন্য অনেক জায়গা থেকে আমাকে দেখতে আসে এবং আমার কাছ থেকে কেচো ক্রয় করে নিয়ে যায় । বাউসি ইউনিয়নে তৈরী করা হয়েছে পাখির অভয়ারণ্য । বিষয়টি দেখে আমি সত্যিই হতভাগ হয়েছি। সমাজের যে সমস্ত মানুষদের মানুষ বলে গণ্য করেনা , তাদের কথা কেউ কোনদিন চিন্তা করেনা অথচ আজ তাদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে চমৎকার চমৎকার কাজ । আমি নিচের চোখে না দেখলে কোন দিন বিশ্বাস করতে পারতাম না। লোকজনের সাথে আলোচনা করে জানা যায় সংস্থার এই সব কাজে প্রশাসন বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে আসছে। পরিশেষে বারহাট্টা পারি ডেভেলপমেণ্ট ট্রাস্ট সংস্থাকে মানুষের জন্য এই মহৎ কাজের জন্য ধন্যবাধ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৭:২০ ১৩১২ বার পঠিত