সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০১৪
মালয়েশিয়ার সব খাত বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে: মন্ত্রী
Home Page » প্রথমপাতা » মালয়েশিয়ার সব খাত বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে: মন্ত্রীবঙ্গ-নিউজঃ এখন থেকে মালয়েশিয়ার সব খাতেই বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার বিকালে রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সফররত মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রিওত আনাক জায়েমের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ বিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা বলে মন্ত্রী।
“আমরা এখানে একটি আলোচনা করেছি। আমাদের দীর্ঘদিনের কিছু প্রপোজাল ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ার কেবিনেট একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য প্লানটেশন ছাড়াও অন্য সবগুলো খাত উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী বৈঠকে এ ঘোষণা দিয়েছেন।”
সরকারি পর্যায়ের চুক্তির আওতায় এতোদিন বাংলাদেশের শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় শুধু বনশিল্প খাতে কাজ করতে পারতো।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, “আমরা বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছি, ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক যে ১৪ লাখ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্য থেকেই পর্যায়ক্রমে সেদেশে শ্রমিক পাঠানো হবে। এতে তারা রাজিও হয়েছেন।”
এছাড়াও বাড়ীর কাজের জন্য গৃহকর্মী বা হাউস ম্যানেজারও বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করতে মালয়েশিয়া আগ্রহী বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “এবিষয়টি সম্পুর্ণ নতুন। আমরা এ বিষয়েও আলোচনা করেছি। তারা এদেশ থেকে গৃহকর্মী চায়, আমরা রাজি হয়েছি। অন্যান্য দেশে যেভাবে গৃহকর্মী পাঠানো হয়েছে মালয়েশিয়াতেও একই ভাবে পাঠানো হবে। তবে এর আগে বিষয়টির টেকনিক্যাল বিষয়গুলো যাচাই করতে দুই দেশেই একজন করে সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করবে।
“মালয়েশিয়ার চাহিদা অনুসারে এদেশে থেকে শ্রমিক পাঠানো হবে। শুধু মাত্র যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের মধ্য থেকেই আপাতত শ্রমিক পাঠানো হবে। এর বাহিরে লোক পাঠানোর কোন সুযোগ নেই।”
বিফ্রিংয়ে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদমন্ত্রী রিচার্ডও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রিচার্ড বলেন, “আমাদের নিজেদের দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা বিদেশ দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকি। এ মুহূর্তে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৯ লাখ ৮০ হাজার বৈধ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় আমরা বাংলাদেশ থেকেও শ্রমিক নেবো।
“আগে শুধু মাত্র বনায়ন শিল্পে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজ করার সুযোগ থাকলেও এখন স্থাপত্য ও সেবা খাতসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করা হবে।
“মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে শ্রমিক গ্রহণ করে থাকে। তবে এতে কাঙ্ক্ষিত সারা পাওয়া যায়নি, তবে যেহেতু এখন প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার খুলছে তাই আশা করা যায়, এবার সারা মিলবে।”
নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সোমবার ঢাকা সফরে আসেন মালয়েশীয় এই মন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রতিনিধি দলটি নেপালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৮:০৪ ৫৪৯ বার পঠিত