শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০১৪

মুরগীর মাংস থেকে সাবধান

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মুরগীর মাংস থেকে সাবধান
শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০১৪



image_64413_0.jpgডেস্কঃমুরগীর মাংসের প্রতি বাংলাদেশীদের প্রীতি সর্বজনবিদিত। কিন্তু এবার সেই মুরগীর মাংসই মারাত্মক প্রভাব ফেলা শুরু করেছে মানুষের শরীরে। মুরগীদের তারাতারি বৃদ্ধির জন্য ভারত ও বাংলাদেশের পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা যথেচ্ছহারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে। আর মাংসের মাধ্যমে সেই অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করছে মানুষের শরীরে। যাহা সম্প্রতি দিল্লির ‘The study by the Centrefor Science and EnvironmentÕs (CSE)-এর দূষণ পর্যবেক্ষণ ল্যাবরেটরির করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এবং বাংলাদেশের পোল্ট্রিগুলিতে ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হচ্ছে ছয় ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক।| oxytetracycline, chlortetracycline, doxycycline, enrofloxacin, ciprofloxacin and neomycin এই অ্যান্টিবায়োটিক গুলি বিভিন্ন জীবাণুঘটিত অসুখের জন্য মানুষের জন্য অতন্ত্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু অকারণে মুরগীর মাংসের মাধ্যমে অত্যাধিক পরিমাণে এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলি মানুষের শরীরে প্রবেশ করায় বিভিন্ন মাইক্রোবসের মধ্যে এই অ্যান্টিবায়োটিক গুলির প্রতি প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে সেপসিস, নিউমোনিয়া, টিউবারকিউলিসের মত মারণ রোগের চিকিৎসা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ এই সবের রোগের মাইক্রোবসরা আগেই থেকে রোগ প্রতরোধকারী অ্যান্টিবায়োটিকসের সংস্পর্শে এসে বাড়িয়ে নিচ্ছে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা। ফলে প্রয়োজনের সময় রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবায়োটিকস এদের উপর কোনও প্রভাবই বিস্তার করতে পারছে না। এ কারনে দেশ ও বিদেশের সকলকে পোল্ট্রি মুরগির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অবশ্য নিজ ফার্মে তৈরী কোন প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই সুস্থ্য ও সবল প্রেল্ট্রি মুরগি খাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০:৪১:৪৫   ৩৫৪ বার পঠিত