শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪

‘জনগণের সরকার থাকলে সমুদ্রের রায় এমনটা হতো না’

Home Page » জাতীয় » ‘জনগণের সরকার থাকলে সমুদ্রের রায় এমনটা হতো না’
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০১৪



কাঞ্চন বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ image_91163_0.jpgঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সরকার যদি বলে ভারত বা মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র জয় করেছে তাহলে এটা হবে তাদের সত্যের অপরাধ। কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে গ্যাসের সাতটি ব্লক আমরা হারিয়েছি, ভারতের সঙ্গে হারিয়েছি দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ। সেখানে কী বিজয় অর্জন হয়েছে, তা একটি শিশুও জানে।শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে লিবার্টি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা: মিয়ানমার ও ভারত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, “দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ছিল বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই দ্বীপ নিয়ে শহীদ জিয়া ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আর সেই দ্বীপ ভারতের কাছে হারিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা আজ বলছেন, দক্ষিণ তালপট্রি বলতে কিছুই নেই। তেমনি মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা রায় হয়েছে, যে রায়ে বিচারকরাই সন্তুষ্ট নন। তারাই বলছেন, বাংলাদেশের ওপর অবিচার করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এমন একটি সময় রায় এসেছে যখন দেশে গণতন্ত্র নেই, জনগণের সরকার নেই। জনগণের সরকার থাকলে সমুদ্রসীমার রায় এমনটা হতো না। আমরা ন্যায্য হিস্যা পেতাম।”

সমুদ্র রায় সঠিকভাবে না জেনে বিজয় মিছিল করার সমালোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “সমুদ্র বিজয় নিয়ে সঠিকভাবে না জেনে বিজয় মিছিল করা খুবই লজ্জার কথা।”

তিনি বলেন, “দক্ষিণ তালপট্টি এলাকায় বা তার সংলগ্ন অনেক গ্যাস সম্পদ রয়েছে। এই বিষয়ে এখন আর কিছু করার নেই। তবে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।”

তালপট্রি দ্বীপ হারিয়ে সরকারের কোনো আফসোস নেই উল্লেখ করে এই শিক্ষাবিদ বলেন, “দক্ষিণ তালপট্টি হারিয়েছি, তবুও এই দ্বীপ নিয়ে তাদের কোনো আলোচনা বা আফসোস নেই। আসলে তারা কী হারিয়েছে এর দিকে কোনো লক্ষ নেই।”

সরকারের উদ্দেশে প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, “সমুদ্রের সম্পদ হারিয়েছেন তা নিয়ে আর কিছু করার নেই। কিন্তু নদীর বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তা না হলে সোনার বাংলা মরুভূমির বাংলায় পরিণত হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের অর্থ যদি অনুগত হয় তাহলে ওই বন্ধুত্ব অনর্থক। এই চিন্তাকে পরিবর্তন করতে হবে।”

অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহাম্মেদ সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের চেয়ারম্যান ড. ছাব্বির মোস্তফা খান, সমুদ্র বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন রেজাউল করিম, শফিকুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কবি আবদুল হাই সিকদার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১০:০২   ৩৫৯ বার পঠিত