মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০১৪

ফের ১৪ দিনের কারাবাসে নূর হোসেন

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ফের ১৪ দিনের কারাবাসে নূর হোসেন
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০১৪



image_58916_0.jpgডেস্ক রিপোর্টঃনারাণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সেভেন মার্ডার ঘটনার মূল আসামি নূর হোসেনেকে ফের ১৪ দিনের কারাদণ্ডের রায় দিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশপরগণার জেলা ও দায়রা আদালত ।সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে তাকে পশ্চিমবঙ্গের বারাসত আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর দুপুরের খাওয়া শেষে সাড়ে ৩টার দিকে মুখ্য বিচারক আদালতের হাকিম মধুমিতা রায়ের এজলাসে তোলা হয় নূর হোসেনকে।
তবে সরকারি আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন দে আনুপস্থিত থাকায় এদিন মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপিত হয়নি। এদিনের পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন পল্লব চৌধুরী। আগামী ২১ জুলাই ফের তাকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হবে।
যেহেতু নূর হোসেন নিজের পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেননি সে জন্য তার কাগজপত্র দেখে একটা রায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। এছাড়া এদিন ভারতীয় মামলায় তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছিল।
সোমবার আদালতে হাজিরের সময় নূর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সাতখুনের মামলায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি ভারতে এসেছেন বৈধ পথেই এও জানান তিনি।
এছাড়া তিনি ভারতে কারো নির্দেশে (কোনো নেতার) আসেননি বলেও এ সময় সাংবাদিকদের জানান নূর হোসেন। অথচ নুরই আগের শুনানিতে জানিয়ে ছিলেন যে তাকে ভারতে নেতারা পাঠিয়েছেন। আর তাদের পরিচয় তিনি দেশে গিয়েই জানাবেন।
এছাড়াও আদালতে হাজির হয়েই আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন নূর হোসেন। তবে তার পক্ষে তিনি কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেননি।
জানা গেছে, আগামী ২১ জুলাই-এর চতুর্থ শুনানিতে নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে জানা যেতে পারে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায়ই তার বিচার করা হতে পারে। এর আগে গত ২৩ জুন নূর হোসেনকে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশপরগণার জেলা ও দায়রা আদালত।
১৯ জুন পশ্চিমবঙ্গের দমদম এলাকার ইন্দ্রপ্রস্থ এপার্টমেন্ট থেকে নুর হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা যায়, আগামী ২১ জুলাই নূর হোসেনকে অনুপ্রবেশকারী প্রমাণ করতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ভাষ্য মতে এদিন পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করবেন। পাশাপাশি এদিনই তার সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট অবস্থান ঘোষণা করবেন আদালত। কারণ নিয়ম অনুযায়ী গ্রেফতার হওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে হয়। তাই সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দিতে হবে তার বাংলাদেশি হওয়ার বিষয়েও। আর তা দিতে না পারলে ৩ মাস পর নূর হোসেনের জামিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এর আগে নূর হোসেনের কাছ থেকে বাংলাদেশি সিম উদ্ধার করা হলেও তা তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে না বলে জানিয়েছিলেন আদালত। এজন্য প্রয়োজন তার বাংলাদেশের পাসপোর্ট বা সচিত্র নাগরিকত্বের মতো প্রামাণ্য নথি।
এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়েছিল, নূর হোসেনের কাছে বৈধ পাসপোর্ট বা ভারতে থাকার ভিসা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫১:০৪   ৪৮১ বার পঠিত