সোমবার, ৭ জুলাই ২০১৪
পলিথিন মোস্তফাকে গ্রেফতার দাবিতে আইজিপির কাছে অভিযোগ
Home Page » সংবাদ শিরোনাম » পলিথিন মোস্তফাকে গ্রেফতার দাবিতে আইজিপির কাছে অভিযোগবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ এক ডজনেরও চেয়ে বেশি মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার পরও
এলাকা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন মোস্তফা বাহিনীর প্রধান মোস্তফা ওরফে পলিথিন মোস্তফা।
রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকার এই সন্ত্রাসী বাহিনীর নানা কর্মকাণ্ডে অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। পুলিশের সঙ্গে এক প্রকার সখ্যতা গড়ার মাধ্যমে গ্রেফতার এড়িয়ে এলাকার মানুষের কাছে মূর্তিমান আতংকে পরিণত হয়েছে পলিথিন মোস্তফা বাহিনী।
পুলিশ সুপারের নির্দেশের পরও থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করায় ভূক্তভোগী এলাকাবাসী আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর পুলিশ সদর দফতরে গিয়ে ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
পুলিশ সদর দফতরের একটি সূত্র বঙ্গনিউজকে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, ১৫/২০ জন সহযোগী নিয়ে পুঠিয়া ও নাটোরের কিছু অংশে মোস্তফা একটি বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। তার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে অসংখ্য মামলা ও জিডি রয়েছে। অনেক মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি রয়েছে।
মোস্তফা বাহিনীকে চাঁদা না দেওয়ার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী। মোস্তফা বাহিনী চাঁদাবাজি, ছিনতাই ডাকাতি ছাড়াও পুঠিয়ার জায়গীর পাড়ার আবু সামার ৬ বিঘা জমি দখল, শিবপুর হাইস্কুলের জমি দখল ও খানকা শরিফের জমি জোরপূর্বক দখলে রেখেছে।
এছাড়াও কসমেটিকস ফ্যাক্টরির মালিকের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে তার অফিস ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় তার বাহিনী।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এই বাহিনী। চাঁদা না পেয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্য লাঞ্ছিত করে ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করে তারা।
অভিযোগে আরো বলা হয়, এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। রয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। কিন্তু থানার ওসি বজলুর রশিদের সঙ্গে বিশেষ সখ্যতার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা।
অভিযোগ দিতে আসা জয়নাল আবেদিন বঙ্গনিউজকে বলেন, মোস্তফা বাহিনীর কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। আমরা পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। এমনকি মোস্তফাকে গ্রেফতারের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও ওসি মোস্তফাকে গ্রেফতার করেনি। এ কারণে ঢাকায় এসে আমরা আইজিপির কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
তিনি বলেন, রমজানে যেন আমরা ঠিকমত ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারি। এই সন্ত্রাসী বাহিনী যেন আমাদের কোনো ক্ষতি না করতে পারে, আইজিপির কাছে সে আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বঙ্গনিউজকে বলেন, মোস্তফাকে গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া থানার ওসি বজলুর রশিদ মোস্তফার সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগ অস্বীকার করে বঙ্গনিউজকে বলেন, আমরা মোস্তফাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০:২৪:২১ ৩৩৪ বার পঠিত