শনিবার, ৫ জুলাই ২০১৪
গাড়িচালক জাহাঙ্গীরের কন্যার নাম রাখলেন আইভী
Home Page » সংবাদ শিরোনাম » গাড়িচালক জাহাঙ্গীরের কন্যার নাম রাখলেন আইভীবঙ্গনিউজ ডটকমঃ ২৭ এপ্রিল অপহরণের পর হত্যা করা সাতজনের মধ্যে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের বন্ধু
মনিরুজ্জামান স্বপনের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীরের মৃত্যু সময় তার স্ত্রী সামসুন্নাহার নুপুর ছিলেন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন সামছুন্নাহার।
নিহত মনিরুজ্জামান স্বপনের ছোটভাই মিজানুর রহমান রিপন জানান, সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়েছে।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী মা ও মেয়েকে দেখতে হাসপাতালে যান। এসময় তিনি শিশুটির নাম রাখেন রওজা।
এর পাঁচদিন আগে জাহাঙ্গীরের স্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা দেন আইভী। এছাড়া নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটিও তাদের দেখতে শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে যান। এসময় তিনি জাহাঙ্গীরের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেন।
রিপন আরো বলেন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীরের পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। শিশুটির খরচ বহন করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। তিনি বিত্তবানদের প্রতি অসহায় এই পরিবারের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ আগষ্ট জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সামসুন্নাহারের বিয়ে হয়। জাহাঙ্গীর আগে দূরন্ত পরিবহনের বাস চালাতেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে আট হাজার টাকা বেতনে ঠিকাদার মনিরুজ্জামান স্বপনের গাড়িচালক হিসেবে চাকরি নেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বপনের প্রতিপক্ষ নূর হোসেন জাহাঙ্গীরকে ওই চাকরি ছেড়ে না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন।
২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-দুই নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ৩০ এপ্রিল ওই নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার মূল আসামি নূর হোসেনকে ১৫ জুন ভারতের কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার পুলিশ। এদিকে, দেশে গ্রেপ্তার করা চাকরিচ্যুত র্যাব কর্মকর্তা অবসরে পাঠানো সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তারা স্বীকার করেছেন যে নূর হোসেনের পরিকল্পনায় এ সাত খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৭:২৩:২৩ ৩৭৯ বার পঠিত