শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০১৪

কুয়েট অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুস সামাদ চাকরি হারালেন

Home Page » জাতীয় » কুয়েট অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুস সামাদ চাকরি হারালেন
শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০১৪



khulna_kuet_samad_482536486.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুস সামাদ এর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা লংঘনের

 অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এর কার্যালয় এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করে (স্মারক- খুপ্রবি/২৩/৬, তারিখঃ ০৩/০৭/১৪)। বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৩ মিনিটে বঙ্গনিউজকে নিশ্চিত করেছেন  কুয়েটের রেজিস্ট্রার আব্দুর রউফ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুয়েটের অধ্যাপক আব্দুস সামাদের অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি)-এর ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন হিসেবে কুয়েট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া চাকরি করার বিষয়টি কুয়েট এর সিন্ডিকেট কর্তৃক গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়।

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া একই সময়ে ২টি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে চাকরি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বিধায় অধ্যাপক সামাদকে সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধি ১৯৮৫ এর ৪(৩)(খ) ধারা এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত দ্বিতীয় সংবিধির ১৯(৭)(খ)(২) ধারা মোতাবেক তাঁর চাকরি হতে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। এ সিদ্ধান্ত ০৩/০৭/২০১৪ তারিখ অপরাহ্ন থেকে কার্যকর হবে।

সূত্র আরও জানায়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ১১/০৪/২০০৭ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত লিয়েনসহ ছুটি নিয়ে চার বছর ঢাকাস্থ প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেন। প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিকালীন সময়ে তিনি ইউএসটিসির উপরোক্ত ফ্যাকাল্টির ডিন হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং কুয়েট এর অনুমতি ছাড়া ইউএসটিসিতে যোগদান করেন ও সেখানে চাকরি করতে থাকেন। পরবর্তীতে তার লিয়েনসহ ছুটি শেষ হলে তিনি ১২/০৪/১১ তারিখে কুয়েট এ যোগদান করলেও ইউএসটিসির এর চাকরি অব্যাহত রাখেন।

বিষয়টি কুয়েট কর্তৃপক্ষ জানতে পারায়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার অভিযোগ এনে ০৫/০৯/২০১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ তম সিন্ডিকেট সভায় পেশ করা হলে সিন্ডিকেট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুস সামাদ এর বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে থাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করা হয়।

কিন্তু তার ব্যখ্যা কমিটির নিকট সন্তোষজনক প্রতীয়মান না হওয়ায় কমিটি ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ প্রেরিত তার চাকরি, বেতন, ভাতা ও ভাতা প্রাপ্তির সার্টিফিকেটসহ এ সংক্রান্ত আনুসাঙ্গিক সকল কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পায়, অধ্যাপক সামাদ ইউএসটিসি- তে কর্মরত ছিলেন এবং ঐ প্রতিষ্ঠান হতে ০৩/১০/২০১০ তারিখ থেকে ১২/১০/২০১৩ তারিখ পর্যন্ত সময়কালে বেতন বাবদ ৩৬,৬৬,৮৮২.০০ টাকা এবং সম্মানী, যাতায়াত ও অন্যান্য ভাতা বাবদ ৪,৯৮,৬৭৮.০০ টাকা গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১:২০:০৫   ৩২০ বার পঠিত