মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০১৪

ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন

Home Page » এক্সক্লুসিভ » ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ক্যামেরুন
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০১৪



বঙ্গ-নিউজ :মেক্সিকোর বিপক্ষে জিতলে ব্রাজিলের পরের রাউন্ডে ওঠা নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে মেক্সিকোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় ২৩ তারিখের ম্যাচটা ব্রাজিলের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরের রাউন্ডে ওঠার জন্য সেদিন ক্যামেরুনের সঙ্গে জিততেই হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ নিয়ে এখন কৌশল রূপায়ণে ব্যস্ত ব্রাজিল। দলের অ্যাটাকিং মিড ফিল্ডার উইলিয়ান বলেছেন, ‘এখন আমাদের অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে, ভালো খেলতে হবে এবং ক্যামেরুনকে নিয়ে ভাবতে হবে। ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন হতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপে সহজ ম্যাচ বলে কিছু হয় না।’ মেক্সিকোর বিপক্ষে ব্রাজিল খারাপ খেলেছে এমনটা মানতে রাজি নন উইলিয়ান। ম্যাচে গোল করার বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন নেইমার ও ফ্রেডরা। কৃতিত্ব আসলে দিতে হবে মেক্সিকান গোলরক্ষক 1403451061.jpgগুইলারমো ওচোয়াকে। যিনি ব্রাজিলের বিপক্ষে অসাধারণ কিছু সেভ করেছেন। এতটাই অসাধারণ যে, গর্ডন ব্যাঙ্কসের সঙ্গে তার তুলনা টানা হচ্ছে। উইলিয়ান প্রশংসা করেছেন মেক্সিকোর। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো খেলেছি। কিন্তু মেক্সিকো অনবদ্য খেলেছে।’ ব্রাসিলিয়ার এস্তাডিও মানে গ্যারিঞ্চায় পরের ম্যাচে ক্যামেরুনের মোকাবেলা করবে ব্রাজিল। সেই ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী উইলিয়ান। বলেছেন, ‘ব্রাজিলের হয়ে সবাই ভালো খেলতে চায়। আশা করি ইতিবাচক রেজাল্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারব।’ প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করে ব্রাজিল। যদিও প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত নেইমারের অসাধারণ ফুটবল বাঁচিয়ে দেয় ব্রাজিলকে। সেদিন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে একাই দুই গোল করেছিলেন নেইমার। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে জোরালো কিছু আক্রমণ করলেও সফল হতে পারেননি। ফলে ব্রাজিলও জিততে পারেনি। এমনিতে মেক্সিকোর বিপক্ষে ব্রাজিলের রেকর্ডও খুব ভালো নয়। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকের ফাইনালে মেক্সিকোর সঙ্গে পরাজিত হয়েছিল ব্রাজিল। ফলে তারা অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিততে ব্যর্থ হয়। লন্ডন অলিম্পিকে মেক্সিকোর কাছে হেরে যাওয়া সেই ব্রাজিল দলে ছিলেন থিয়াগো সিলভা, মার্সেলো, অস্কার ও নেইমার। মুখে স্বীকার না করলেও তাদের জন্য গত মঙ্গলবারের ম্যাচ ছিল প্রতিশোধের মিশন। মেক্সিকোর বিপক্ষে ইনজুরির কারণে ব্রাজিলিয়ান স্টাইকার হাল্ক খেলতে পারেননি। পরের ম্যাচে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে মাঠে নামার ব্যাপারে আশাবাদী হাল্ক। এ গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল ক্যামেরুন। তবু বিশ্বকাপের ম্যাচ বলে কথা। যে কোনো সময় যে কোনো অঘটন ঘটতে পারে। ২৬ বছর বয়স্ক গুস্তাভো বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচের চেয়ে পরের ম্যাচটা কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকে। ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ কঠিন ছিল। কিন্তু মেক্সিকোর ম্যাচটা ছিল তুলনামূলক কঠিনতর।’ প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি ক্যামেরুন। সেই ম্যাচে পরাজিত হওয়ার ফলে তাদের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। ব্রাজিলের বিপক্ষে ২৩ তারিখের ম্যাচে হারলে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেবে ক্যামেরুন।

যায়েদ হাসান সম্রাট, বঙ্গ-নিউজ।

নক আউট পর্ব নিশ্চিত করার মিশন নিয়ে সোমবার ক্যামেরুনের মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি। একইদিন একই সময়ে রেসিফে শহরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে গ্রুপের অপর দুই দল ক্রোয়েশিয়া ও মেক্সিকো। সোমবার রাত ১০ টায় কুরিতিবায় ‘বি’ গ্রুপ থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন মুখোমুখি হবে এশিয়া জোনের ফুটবল পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার। একই সময় গ্রুপের অপর দুই দল হল্যান্ড ও চিলি লড়বে সাওপাওলোতে।
লুইজ ফিলিপ স্কলারির ব্রাজিল ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে মেক্সিকোর সঙ্গে। যারা শেষ ষোল নিশ্চিত করতে একই সময়ে রেসিফেতে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে। যদিও স্বাগতিক দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা দীর্ঘ পথ পরিক্রমার জন্য যে দক্ষতা প্রদর্শনের দরকার তা এখনো দেখাতে পারেনি।
এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবগুলো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা ব্রাজিল কখনো প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়নি। কিন্তু গোলরক্ষক হুলিও সিজারের মতে প্রতিপক্ষ দলগুলোর মানসম্পন্ন খেলা সেলেকাওদের অগ্রযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি একটি কঠিনতম গ্রুপ। তবে এটি আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবেলার জন্য আমরা তিনটি দলের মোকাবেলা করার সুযোগ পাচ্ছি। কারণ এটি আপনাকে কোন জায়াগাটাতে বেশি মনোযোগি হতে হবে, সেটি বাতলে দিবে। যা সংক্ষিপ্ত সময়ের এই প্রতিযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এবারের আসরে জয়লাভের অতিমাত্রায় চাপ রয়েছে ব্রাজিলের ওপর। কিন্তু গ্রুপ পর্বের ম্যাচে স্কলারির দলকে আতঙ্কিত হলে চলবে না। গোল ব্যবধানে তারা মেক্সিকোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তাই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতে ব্রাজিলকে ড্র করলেও চলবে। যদি তাই হয়, তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের লড়তে হবে হয় চিলি, কিংবা হল্যান্ডের সঙ্গে। সেই হিসেবে যদি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল পরাজিত না হয় তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে কোনো বাধা নেই। তবে কোনো কারণে যদি ক্যামেরুনের কাছে তারা হেরে যায়, তাহলে নক আউট পর্বে খেলার পথ তাদের জন্য বলতে গেলে খুবই সংকীর্ণ হয়ে পড়বে।
ভলকার ফিনেকের ক্যামেরুন দলটি ইতোমধ্যে নক আউট পর্বেও আগে তাদের বিদায়ের পথ নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রথম দু’টি ম্যাচে পরাজিত হয়ে। এর ফলে ১৯৯০ সালের পর আর কখনো নক আউট পর্বে খেলতে না পারার ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখল আফ্রিকান অদম্য সিংহরা। প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হবার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রেয়েশিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হার মেনে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে তারা।
দলটির বিশ্ব কাঁপানো সুপার স্টার স্যামুয়েল ইতো হাঁটুর ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন। মেক্সিকোর সঙ্গে ম্যাচের পর থেকে তিনি আর দলীয় অনুশীলনে যোগ দেননি। ফিনেক দেখলেন তার মিডফিল্ডার আলেক্সান্দ্রে সং অপেশাদারসুলভ আচরণের কারণে লাল কার্ড দেখে বিতাড়িত হয়েছেন। তার লেফট ব্যাক বেনন্ট আসু একোটো ম্যাচ শেষে মাঠেই বুট দিয়ে আঘাত করেছেন সতীর্থ বেঞ্জামিন মুকান্ডিওকে।
কোচ বলেন, কিছু কিছু খেলোয়াড়ের ব্যাপারে আমাদের কথা বলতে হবে। ওই খেলোয়াড়দের আচরণ কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ ধরনের কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে প্রথম দু’টি ম্যাচ নিয়ে আমরা বিশে¬ষণ করেছি। খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা এরপর ভালো কাজ করেছি। আমাদের মনোযোগের অভাবে কিছু কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও আমাদের ফিনিশিংয়ে ঘাটতি ছিল। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে আমরা ভালো করতে পারব।
সমস্যার মধ্যে থাকার পরও ক্যামেরুনকে নিয়ে যথেষ্ট ভীতি রয়েছে ব্রাজিল দলের। কারণ আফ্রিকান এই অদম্য সিংহরা ২০০৩ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন কাপে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ বলেন, ক্যামেরুন মাঠে নামবে নির্ভার হয়ে। পাশাপাশি প্রথম দুই ম্যাচের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে দলটি। আর আমাদের লক্ষ্য থাকবে গ্রুপ সেরা দল হিসেবে নকআউট পর্বে উন্নীত হওয়া। - See more at: http://www.gramerkagoj.com/details.php?id=32670#sthash.RJVYnINF.dpuf

নক আউট পর্ব নিশ্চিত করার মিশন নিয়ে সোমবার ক্যামেরুনের মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি। একইদিন একই সময়ে রেসিফে শহরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে গ্রুপের অপর দুই দল ক্রোয়েশিয়া ও মেক্সিকো। সোমবার রাত ১০ টায় কুরিতিবায় ‘বি’ গ্রুপ থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন মুখোমুখি হবে এশিয়া জোনের ফুটবল পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার। একই সময় গ্রুপের অপর দুই দল হল্যান্ড ও চিলি লড়বে সাওপাওলোতে।
লুইজ ফিলিপ স্কলারির ব্রাজিল ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে মেক্সিকোর সঙ্গে। যারা শেষ ষোল নিশ্চিত করতে একই সময়ে রেসিফেতে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে। যদিও স্বাগতিক দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা দীর্ঘ পথ পরিক্রমার জন্য যে দক্ষতা প্রদর্শনের দরকার তা এখনো দেখাতে পারেনি।
এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবগুলো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা ব্রাজিল কখনো প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়নি। কিন্তু গোলরক্ষক হুলিও সিজারের মতে প্রতিপক্ষ দলগুলোর মানসম্পন্ন খেলা সেলেকাওদের অগ্রযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি একটি কঠিনতম গ্রুপ। তবে এটি আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবেলার জন্য আমরা তিনটি দলের মোকাবেলা করার সুযোগ পাচ্ছি। কারণ এটি আপনাকে কোন জায়াগাটাতে বেশি মনোযোগি হতে হবে, সেটি বাতলে দিবে। যা সংক্ষিপ্ত সময়ের এই প্রতিযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এবারের আসরে জয়লাভের অতিমাত্রায় চাপ রয়েছে ব্রাজিলের ওপর। কিন্তু গ্রুপ পর্বের ম্যাচে স্কলারির দলকে আতঙ্কিত হলে চলবে না। গোল ব্যবধানে তারা মেক্সিকোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তাই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতে ব্রাজিলকে ড্র করলেও চলবে। যদি তাই হয়, তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের লড়তে হবে হয় চিলি, কিংবা হল্যান্ডের সঙ্গে। সেই হিসেবে যদি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল পরাজিত না হয় তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে কোনো বাধা নেই। তবে কোনো কারণে যদি ক্যামেরুনের কাছে তারা হেরে যায়, তাহলে নক আউট পর্বে খেলার পথ তাদের জন্য বলতে গেলে খুবই সংকীর্ণ হয়ে পড়বে।
ভলকার ফিনেকের ক্যামেরুন দলটি ইতোমধ্যে নক আউট পর্বেও আগে তাদের বিদায়ের পথ নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রথম দু’টি ম্যাচে পরাজিত হয়ে। এর ফলে ১৯৯০ সালের পর আর কখনো নক আউট পর্বে খেলতে না পারার ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখল আফ্রিকান অদম্য সিংহরা। প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হবার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রেয়েশিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হার মেনে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে তারা।
দলটির বিশ্ব কাঁপানো সুপার স্টার স্যামুয়েল ইতো হাঁটুর ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন। মেক্সিকোর সঙ্গে ম্যাচের পর থেকে তিনি আর দলীয় অনুশীলনে যোগ দেননি। ফিনেক দেখলেন তার মিডফিল্ডার আলেক্সান্দ্রে সং অপেশাদারসুলভ আচরণের কারণে লাল কার্ড দেখে বিতাড়িত হয়েছেন। তার লেফট ব্যাক বেনন্ট আসু একোটো ম্যাচ শেষে মাঠেই বুট দিয়ে আঘাত করেছেন সতীর্থ বেঞ্জামিন মুকান্ডিওকে।
কোচ বলেন, কিছু কিছু খেলোয়াড়ের ব্যাপারে আমাদের কথা বলতে হবে। ওই খেলোয়াড়দের আচরণ কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ ধরনের কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে প্রথম দু’টি ম্যাচ নিয়ে আমরা বিশে¬ষণ করেছি। খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা এরপর ভালো কাজ করেছি। আমাদের মনোযোগের অভাবে কিছু কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও আমাদের ফিনিশিংয়ে ঘাটতি ছিল। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে আমরা ভালো করতে পারব।
সমস্যার মধ্যে থাকার পরও ক্যামেরুনকে নিয়ে যথেষ্ট ভীতি রয়েছে ব্রাজিল দলের। কারণ আফ্রিকান এই অদম্য সিংহরা ২০০৩ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন কাপে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ বলেন, ক্যামেরুন মাঠে নামবে নির্ভার হয়ে। পাশাপাশি প্রথম দুই ম্যাচের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে দলটি। আর আমাদের লক্ষ্য থাকবে গ্রুপ সেরা দল হিসেবে নকআউট পর্বে উন্নীত হওয়া। - See more at: http://www.gramerkagoj.com/details.php?id=32670#sthash.RJVYnINF.dpuf

নক আউট পর্ব নিশ্চিত করার মিশন নিয়ে সোমবার ক্যামেরুনের মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় রাজধানী ব্রাসিলিয়ার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটি। একইদিন একই সময়ে রেসিফে শহরে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে গ্রুপের অপর দুই দল ক্রোয়েশিয়া ও মেক্সিকো। সোমবার রাত ১০ টায় কুরিতিবায় ‘বি’ গ্রুপ থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন মুখোমুখি হবে এশিয়া জোনের ফুটবল পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার। একই সময় গ্রুপের অপর দুই দল হল্যান্ড ও চিলি লড়বে সাওপাওলোতে।
লুইজ ফিলিপ স্কলারির ব্রাজিল ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে মেক্সিকোর সঙ্গে। যারা শেষ ষোল নিশ্চিত করতে একই সময়ে রেসিফেতে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে। যদিও স্বাগতিক দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা দীর্ঘ পথ পরিক্রমার জন্য যে দক্ষতা প্রদর্শনের দরকার তা এখনো দেখাতে পারেনি।
এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সবগুলো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা ব্রাজিল কখনো প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়নি। কিন্তু গোলরক্ষক হুলিও সিজারের মতে প্রতিপক্ষ দলগুলোর মানসম্পন্ন খেলা সেলেকাওদের অগ্রযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি একটি কঠিনতম গ্রুপ। তবে এটি আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার। যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবেলার জন্য আমরা তিনটি দলের মোকাবেলা করার সুযোগ পাচ্ছি। কারণ এটি আপনাকে কোন জায়াগাটাতে বেশি মনোযোগি হতে হবে, সেটি বাতলে দিবে। যা সংক্ষিপ্ত সময়ের এই প্রতিযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এবারের আসরে জয়লাভের অতিমাত্রায় চাপ রয়েছে ব্রাজিলের ওপর। কিন্তু গ্রুপ পর্বের ম্যাচে স্কলারির দলকে আতঙ্কিত হলে চলবে না। গোল ব্যবধানে তারা মেক্সিকোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তাই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতে ব্রাজিলকে ড্র করলেও চলবে। যদি তাই হয়, তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের লড়তে হবে হয় চিলি, কিংবা হল্যান্ডের সঙ্গে। সেই হিসেবে যদি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল পরাজিত না হয় তাহলে দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে কোনো বাধা নেই। তবে কোনো কারণে যদি ক্যামেরুনের কাছে তারা হেরে যায়, তাহলে নক আউট পর্বে খেলার পথ তাদের জন্য বলতে গেলে খুবই সংকীর্ণ হয়ে পড়বে।
ভলকার ফিনেকের ক্যামেরুন দলটি ইতোমধ্যে নক আউট পর্বেও আগে তাদের বিদায়ের পথ নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রথম দু’টি ম্যাচে পরাজিত হয়ে। এর ফলে ১৯৯০ সালের পর আর কখনো নক আউট পর্বে খেলতে না পারার ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখল আফ্রিকান অদম্য সিংহরা। প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হবার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রেয়েশিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হার মেনে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে তারা।
দলটির বিশ্ব কাঁপানো সুপার স্টার স্যামুয়েল ইতো হাঁটুর ইনজুরির সঙ্গে লড়ছেন। মেক্সিকোর সঙ্গে ম্যাচের পর থেকে তিনি আর দলীয় অনুশীলনে যোগ দেননি। ফিনেক দেখলেন তার মিডফিল্ডার আলেক্সান্দ্রে সং অপেশাদারসুলভ আচরণের কারণে লাল কার্ড দেখে বিতাড়িত হয়েছেন। তার লেফট ব্যাক বেনন্ট আসু একোটো ম্যাচ শেষে মাঠেই বুট দিয়ে আঘাত করেছেন সতীর্থ বেঞ্জামিন মুকান্ডিওকে।
কোচ বলেন, কিছু কিছু খেলোয়াড়ের ব্যাপারে আমাদের কথা বলতে হবে। ওই খেলোয়াড়দের আচরণ কোনোভাবেই সন্তোষজনক নয়। এ ধরনের কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে প্রথম দু’টি ম্যাচ নিয়ে আমরা বিশে¬ষণ করেছি। খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা এরপর ভালো কাজ করেছি। আমাদের মনোযোগের অভাবে কিছু কিছু পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও আমাদের ফিনিশিংয়ে ঘাটতি ছিল। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে আমরা ভালো করতে পারব।
সমস্যার মধ্যে থাকার পরও ক্যামেরুনকে নিয়ে যথেষ্ট ভীতি রয়েছে ব্রাজিল দলের। কারণ আফ্রিকান এই অদম্য সিংহরা ২০০৩ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কনফেডারেশন কাপে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ বলেন, ক্যামেরুন মাঠে নামবে নির্ভার হয়ে। পাশাপাশি প্রথম দুই ম্যাচের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে দলটি। আর আমাদের লক্ষ্য থাকবে গ্রুপ সেরা দল হিসেবে নকআউট পর্বে উন্নীত হওয়া। - See more at: http://www.gramerkagoj.com/details.php?id=32670#sthash.RJVYnINF.dpufযায়েদ হাসান সম্রাট, বঙ্গ-নিউজ।

বাংলাদেশ সময়: ০:১৩:৩২   ৪৩৮ বার পঠিত