রবিবার, ১৫ জুন ২০১৪

নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শিগগিরই: পুলিশ সুপার

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শিগগিরই: পুলিশ সুপার
রবিবার, ১৫ জুন ২০১৪



image_53176_0.jpgডেস্করিপোর্টঃসাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন। শিগগিরই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি জানান।রোববার সকাল ১০টার দিকে মুঠোফোনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার।
এ সময় খন্দকার মহিদ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ‘কলকাতায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাকে দেশে আনার আইনগত প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে বলে আশাকরছি।’
শনিবার রাতে আমাদের কলকাতা প্রতিনিধিকে সেখানকার পুলিশ সূত্র জানায়, অনুপ্রবেশের অভিযোগে দমদমের কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে নূর হোসেনসহ আরো দুই সহযোগীকে ভারতীয় অ্যান্টি টেরোরিস্ট বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। অন্য দুই জনের নাম জানা যায়নি।
তবে বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধে ওই অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে নূর হোসেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা- ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়া হয়। পরে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে রেড ওয়ারেন্ট জারি করে ইন্টারপোল।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র) নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম একসঙ্গে অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। মামলায় কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান করে মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয় জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দু’টি করে বস্তায় বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়। গত ৩ মে নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার এবং রক্তমাখা মাইক্রোবাস জব্দ করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় আরো বেশ কয়েকজনকে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাব-১১ এর কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের পরিবারের সদস্যরা। নজরুল ইসলামের শ্বশুর অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাবকে দিয়ে ওই সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন নূর হোসেন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
গত ১০ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৬:২১   ৩৪৬ বার পঠিত