সোমবার, ২ জুন ২০১৪
আইপিএল-এ আবারও কলকাতার শিরোপা জয়
Home Page » ক্রিকেট » আইপিএল-এ আবারও কলকাতার শিরোপা জয়বঙ্গ-নিউজঃ ২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল হাতে থাকতেই ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে কলকাতা। পাঞ্জাবকে হারিয়ে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো আইপিএলের শিরোপা হাতে সাকিব গম্ভিরদের উল্লাস।জয়ের জন্য কলকাতার শেষ ওভারে দরকার ছিলো ৫ রান। সুনীল নারাইন ১ রান নিয়ে ব্যাটিং দেন পীযুষ চাওলাকে। তিনি শেষ ওভারের ৩ নম্বর বলে চার মেরে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিকভাবে সাকিব বলেন, এই অর্জন সবার এক হয়ে খেলার কারণেই। আমরা হাল ছেড়ে দেইনি কখনও। প্রতি ওভারে নতুন লক্ষ্য স্থির করে এগিয়েছি।
খেলার সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব: ২০ ওভারে ১৯৯/৪ (বীরেন্দ্র শেবাগ ৭, ভোহরা ৬৭, বেইলি ১, ঋদ্ধিমান ১১৫*, ম্যাক্সওয়েল ০, মিলার ১*; চাওলা ২/৪৪, যাদব ১/৩৯, নারায়ণ ১/৪৬, সাকিব ০/২৮)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৯.৩ ওভারে ২০০/৭ (উথাপ্পা ৫, গম্ভীর ২৩, মনিশ ৯৪, ইউসুফ ৩৬, সাকিব ১২, টেন ডেসকাট ৪, সূর্যকুমার ৫, চাওলা ১৩*, সুনীল ২*; ক্রান্তিবীর ৪/৫৪, জনসন ২/৪১)।
আইপিএলের সপ্তম আসরে কলকাতা জয় লাভ করে শিরোপা হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে জিতে নিয়েছে ১৫ কোটি রুপিও।
সেই সঙ্গে কলকাতার রবিন উথাপ্পা আসরের সবচেয়ে বেশি রান করে জিতেছেন শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যানের মুকুট। রবিন উথাপ্পা ১৬ ম্যাচে করেছেন ৬৬৬ রান।
আর সেরা বোলার হয়েছেন চেন্নই সুপার কিংসের মোহিত সারমা। তিনি ১৬ ম্যাচে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট।
আর এই আসরের সবচেয়ে মূল্যবান ক্রিকেটারের মুকুটটি জিতে নিয়েছেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া চেন্নই সুপার কিংস এই আসরেও পরিচ্ছন্ন খেলার জন্য এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো পেয়েছে ফেয়ার প্লে পুরস্কার।
এ সব পুরস্কার তুলে দেওয়ার পর আইপিএলের নতুন চেয়ারম্যান সুনীল গাভাস্কার শিরোপা তুলে দেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের প্লেয়ারদের হাতে।
এর আগে আইপিএলের সপ্তম আসরের ফাইনালে ব্যাঙ্গালুরুর চেন্বাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। টস জিতে ফিল্ডিং নেয় কলকাতা।
আর তাই প্রথমে ব্যাটিং করে পাঞ্জাব ২০০ রানের টার্গেট দেয় কলকাতাকে।
পাঞ্জাবের হয়ে ব্যাটিংয়ের সূচনা করেন গত ম্যাচের শতক হাঁকানো বীরেন্দর শেবাগ ও মানান ভোরা। উমেশ যাদবের বলে গম্ভীরের তালুবন্দি হয়ে ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন শেবাগ। প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ২৩ রানে।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন জর্জ বেইলি। সুনীল নারাইনের করা প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল দুই উইকেটে ৩২ রান।
সাকিবের করা চার ওভারে পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা করে মাত্র ২৬ রান। ৮ ওভারে দলীয় অর্ধশত হয় পাঞ্জাবের। আর দলীয় শতক আসে মাত্র ৫৯ বলে।
২৯ বলে তিনটি চার আর চারটি ছয়ে সাহা তার অর্ধশত করেন। আর ভোরা চারটি চার আর একটি ছয়ে ৪২ বলে অর্ধশত করেন। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে তাদের জুটি হয় ১২৯ রানের।
ভোরা ৫২ বলে ছয়টি চার আর দুটি ছয়ে চাওলার বলে তার হাতেই বন্দি হওয়ার আগে করেন ৬৭ রান। পাঁচ নম্বরে নামা ম্যাক্সওয়েল শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন। তবে অসাধারণ ব্যাটিং ঝলক দেখিয়েছেন চার নম্বরে নামা সাহা। ৪৯ বল থেকেই তুলে নেন নিজের শতক। দশটি চার ও আটটি চারে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন সাহা।
নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঞ্জাবের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। শিরোপা জিততে কলকাতার টার্গেট পাক্কা ২০০ রান।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারের আগেই (১৯.০৩ বলে) কলকাতা জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। আর জিতে নেয় আইপিএলে তাদের দ্বিতীয় শিরোপা।
২০০ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং এ নেমে প্রথম ওভারেই রবিন উথাপ্পার বিদায়ে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি কলকাতার। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহককে ফিরিয়ে দেন মিচেল জনসন।
দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের (২৩) সঙ্গে ৫৩ ও তৃতীয় উইকেটে ইউসুফ পাঠানের (৩৬) সঙ্গে ৭১ রানের দুটি জুটি উপহার দিয়ে দলকে ২ উইকেটে ১৩০ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন মনিষ পান্ডে।
রান আউট হওয়ার আগে সাকিব আল হাসান ৭ বলে ১২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন।
এরপর ডাচ ক্রিকেটার রায়ান ডেন ডেসকাট দ্রুত সাজঘরে ফিরে গেলেও দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মনিষ। এক সময়ে ১৯ বলে মাত্র ২১ রানের প্রয়োজনীয়তার সামনে নিয়ে এসেছিলেন দলকে। কিন্তু অতিরিক্ত মারতে গিয়ে মনিষের বিদায় দলকে অস্বস্তিতে ফেলে।
৯৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা মনিশের ৫০ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি বিশাল ছক্কা।
সূর্যকুমার যাদবও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে পীযুষ চাওলা ও সুনীল নারায়ণ দলকে আইপিএলে দ্বিতীয় শিরোপা এনে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ৬:৩২:১৭ ৪০২ বার পঠিত