শনিবার, ৩১ মে ২০১৪

সচল হার্টেই বাইপাস, তুলনাহীন সাফল্যে বাংলাদেশ

Home Page » এক্সক্লুসিভ » সচল হার্টেই বাইপাস, তুলনাহীন সাফল্যে বাংলাদেশ
শনিবার, ৩১ মে ২০১৪



heart-attack-2010-08-24-218x300.jpgবঙ্গ-নিউজঃ বর্তমানে হার্ট সচল রেখেই দেশে বাইপাস সার্জারি করা হচ্ছে। এতে তুলনাহীন সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশ হার্ট রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা এ তথ্য জানান।
ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। উন্নত বিশ্বের চেয়ে কম খরচে দেশে এ অপারেশন হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩০০ রোগীর এ অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যুর হার ৩-৪ ভাগ। আমেরিকাতে এ হার ২ ভাগ। তারপরও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের এ অর্জন অনেক বেশি ঈর্ষণীয়।

‘বাইপাস সার্জারি উইথ অ্যাথারেকটমি ইন বিটিং হার্ট’ শীর্ষক সায়েন্টিফিক সেমিনারে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশ হার্ট রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এস আর খান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ হার্ট রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা. অসিত বরণ অধিকারী বলেন, আগে থেকে (অল্প বয়সে) সচেতন হলে এ ধরনের রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। ডা. এস আর খান (এফআরসিএস) দেশে কার্ডিয়াক সার্জারি চালু করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া বাইপাস সার্জারি চালু করেন ডা. খান ও ডা. অসিত।

ডা. অসিত জানান, বিটিং (হার্ট চালু রেখে) পদ্ধতিতে রক্ত নালীর ভেতরে জমে থাকা চর্বি কেটে বের করে বাইপাস সার্জারি করা হয়। ৯০ দশকের মাঝামাঝি হার্ট সচল রেখে বাইপাস সার্জারি শুরু হয়। বাংলাদেশে ২০০১ থেকে হার্ট অচল রেখে বাইপাস সার্জারি শুরু করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সাল থেকে বিটিং হার্ট পদ্ধতিতে বাইপাস করা হয়।

তিনি আরও জানান, অতিরক্তি ও চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখা এবং হাইপারটেনশনের কারণে এ রোগ হয়ে থাকে। দেশে সরকারি হাসপাতালে ১ লাখ এবং বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে অ্যাপোলো হসপিটালে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ অপারেশন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ১৮ থেকে ৯৪ বছর বয়সের রোগীদের এ সার্জারি করা হয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সরকারি-বেসরকারি প্রায় ১৮টি হাসপাতালে এ সার্জারি করা হয়। বাংলাদেশে জন্মগত শিশু হার্টের রোগির সংখ্যা প্রায় ৫-৬ লাখ। বয়স্ক রোগীর সংখ্যা তার দ্বিগুণ।

ডা. অসিত বলেন, বাইপাস সার্জারিতে ভয়ের কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে, বাংলাদেশে এ পদ্ধতিতে সার্জারি করাতে ভয়ের কারণে প্রতিবছর গড়ে ২ থেকে ৩ শতাংশ রোগী মারা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১:৫৭:০৮   ৩৮৮ বার পঠিত