বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০১৪

এক দশক পরে বোমা হামলার রায়

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » এক দশক পরে বোমা হামলার রায়
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০১৪



5349249135386-1labisakh.jpgবঙ্গ-নিউজঃ ২০০১ সালে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা মেরে হত্যা করা হয় ১০ জনকে, হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গি যে মামলার আসামি।
এক দশকেরও বেশি সময় আগে রাজধানীর রমনা বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলায় আগামী ১৬ জুন রায় ঘোষণার দিন রেখেছে আদালত।
তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন দাবি করে এই জঙ্গিদের সর্বো্চ্চ শাস্তি চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন রায় ঘোষণার দিন রাখেন বলে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জাহিদ সরদার জানান।

মামলার বিবরণে বলা হয়, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ‘ইসলামবিরোধী’ বিবেচনা করে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।

এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

হত্যা মামলায় রায় ঘোষণায় দিন ঠিক হলেও অন্য মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

ঘটনার প্রায় আট বছর পর ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

দুটি মামলায়ই ১৪ জন আসামির মধ্যে নয়জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।

তারা হলেন- মুফতি হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হোসেন সুমন, শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির, মাওলানা শওকত হোসেন ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা আবু তাহের ও মাওলানা ইয়াহিয়া।

এদের মধ্যে হান্নান, আকবর ও আরিফ বোমা হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বাকি পাঁচ আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই পলাতক।

আলোচিত এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা বারবার পরিবর্তন, সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল, বারবার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও তদন্ত কর্মকর্তাদের আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসা ইত্যাদি কারণে মামলার বিচার শুরু হতে বিলম্ব হয়।

পর্যায়ক্রমে থানা, ডিবি ও সিআইডি পুলিশে মামলার তদন্ত যায়। মামলার অষ্টম তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুটি মামলারই অভিযোগপত্র একসঙ্গে দাখিল করা হয়। পরে বিচারের জন্য মামলা দুটি ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে যায়। ওই আদালতে একই বছরের ১৬ এপ্রিল পৃথকভাবে মামলা দুটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের সিদ্ধান্তে হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ পাঠানো হয়।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, ১৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার শেষ না হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী মামলা দায়রা আদালতে ফেরত যায়। ফলে হত্যা মামলাটি আবার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালতে স্থানান্তর হয়। গত বছরের ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর গত ১০ নভেম্বর আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করে ফৌজদারি কার্য়বিধির ৩৪২ ধারায় জবানবন্দি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৪:৩৮   ৪১০ বার পঠিত