মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৩

বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে রানা প্লাজা ধসের কয়েকটি কারণ

Home Page » জাতীয় » বিশেষজ্ঞের দৃষ্টিতে রানা প্লাজা ধসের কয়েকটি কারণ
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৩



rana-plaza-gb20130430083324.jpgবঙ্গ-নিউজ ডটকম:নির্দিষ্ট একটি কারণ নয়, সাভারের রানা প্লাজা ধসের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমিকম্প ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। তার দৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো, ৮ থেকে ৯ তলা বিল্ডিংয়ের কলাম নিয়মানুযায়ী ১২ ইঞ্চি হবার কথা থাকলেও রানা প্লাজায় এই কলাম ৪ ইঞ্চি কমে ৮ ইঞ্চি থাকা।৫ তলার অনুমোদনপ্রাপ্ত ভবনটি শুরুতে ২০০৪ সালে ৪ তলা পর্যন্ত থাকলেও পরবর্তীতে আরো ৫ তলা বাড়িয়ে ভবনটিকে ৯ তলায় উন্নীত করা।প্রথমে ভবনের পেছনের অংশটি ধসে পড়ে, তারপর সামনের অংশ। পেছনের অংশে ভরাট করা মাটি নরম থাকা। ওই মাটিকে শক্ত ও পরিণত হবার সময় না দেওয়া।রানা প্লাজায় নিম্নমানের রড, ইট ও সিমেন্ট ব্যবহার করা এবং ভবন নির্মাণে বালু ও সিমেন্টের পরিমাণে অপর্যাপ্ততা। বিধ্বস্ত রানা প্লাজা পরিদর্শন শেষে ভবন ধসের কারণ হিসেবে এ বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করেছেন বলে জানান তিনি।মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে নাগরিক সংহতি আয়োজিত ‘অগ্নিকাণ্ড-ভূমিকম্প ও ভবনধস পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা: বাংলাদেশের প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কারণ তুলে ধরেন।তিনি বলেন, “ঢাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে লক্ষাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়বে। এ জন্য আগেই ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবনগুলো চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”এই বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, “বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। এছাড়া ফায়ার বিগ্রেড ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগসহ আধুনিক প্রশিক্ষণ, যানবাহন, যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম ইত্যাদির জন্য পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ দিতে হবে।”সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক সংহতির সভাপতি ড. এ এস এম আতিকুর রহমান বলেন, “ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই তাৎক্ষণিক উত্তেজনায় আমরা বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাই। বলি এটা করলে ভালো হতো, ওটা করলে ভালো হতো, কিন্তু দুর্ঘটনা না হওয়ার জন্য আগেই কী করলে ভালো হয় তার প্রস্তুতি নিতে হবে।”তিনি বলেন, “স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যদি বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তবে অগ্নিকাণ্ড-ভূমিকম্প ও ভবনধসের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কম হবে। সাভার অভিযানে স্বেচ্ছাসেবকরা জীবন বাজি রেখে প্রায় দুই হাজার ৫০০ জনকে উদ্ধার করেছে, যা ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেন তিনি নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, “কয়েক বছর আগে যখন বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লাগে তখন আমরা দেখেছি শপিং মলটির সামনে পানি থাকার কারণে এবং ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছিলো মার্কেটটি। এ জন্য শপিংমলগুলোর কাছাকাছি পর্যাপ্ত পানি রাখা উচিত।অনুষ্ঠানে উদ্ধারকর্মী মো. এমরান বলেন, “উদ্ধারকাজে সমন্বয়ের অভাব ছিলো। অনেক অনভিজ্ঞ লোক জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন।”

বাংলাদেশ সময়: ২১:০৩:৪৩   ৫৪০ বার পঠিত