সোমবার, ১৯ মে ২০১৪

পেশা আর নেশায় অদম্য প্রতিভা ফরিদা আক্তার বানু

Home Page » ফিচার » পেশা আর নেশায় অদম্য প্রতিভা ফরিদা আক্তার বানু
সোমবার, ১৯ মে ২০১৪



1472299_439457316177721_1241367319_n.jpgবঙ্গ-নিউজঃ ফরিদা আক্তার বানু রুনু। পিতা- মৃত ফয়েজ উদ্দিন ছিলেন তৎকালীন নওগাঁ বিএমসি কলেজের ফিজিক্যাল ইনসট্রাক্টর। মা রাবেয়া আকতার বানু গৃহিণী। তাঁর জন্ম ১৯৫২ সালের ১১ এপ্রিল। পারিবারিকভাবে গান শিখেছিলেন শখের বশে। পরবর্তীতে স্থানীয় বিভিন্ন
অনুষ্ঠানে তাঁর গান সুনে শ্রোতাবৃন্দ মুগ্ধ হয়ে তাঁকে সঙ্গীতের দিকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি যখন ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী তখন নওগাঁ ডিগ্রি কলেজের একটি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মধ্যে থেকে ভালো গাওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ একটি পাইলট কলম
উপহার পেয়েছিলেন। মূলত সেই উৎসাহ থেকেই তাঁর সংগীতে প্রবেশ। ইতোমধ্যে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে পারিবারিকভাবে তাঁর সংগীতের চর্চা অব্যাহত থাকে। পরাসুনা শেষে তিনি যোগদান করেন শিক্ষকতা পেশায় ১৯৭৭ সালে নওগাঁ সরকারী বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়ে। সুনামের সাথে পর্যায়ক্রমে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও তিনি নওগাঁ কে-ডি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং দিনাজপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ছাড়াও জেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব
পালন করেছেন। ২০০৯ সালে অবসর গ্রহন করেন। তিনি বড় ভাইয়ের উৎসাহ উদ্দীপনায় সঙ্গীতের চর্চা করেন। জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তিনি পরস্কার হিসেবে বহু সীল্ড, মেডেল, ক্রেস্ট অর্জন করেছেন। ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশ
বেতার সংগীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি সংগীতের ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের জন্য ওস্তাদ ভবেস চ্যাটার্জী, মওলানা বক্স, মমিনুল হক ভুটি এবং রাজশাহীর সংগীত শিল্পী আব্দুল আজিজ বাচ্চু’র কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি তাঁর কর্ম জীবনে জেলা
শিল্পকলা একাডেমী, জেলা ক্রিড়া সংস্থা ও মহিলা সমতির সদস্য এবং জেলা ক্রিড়া সংস্থার সম্পাদিকার দায়িত্বও পালন করেন। সমাজসেবার অংশ হিসেবে তিনি কিছুদিন সেচ্ছায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০:৫০:৫৯   ৪৯৯ বার পঠিত