শুক্রবার, ১৬ মে ২০১৪
ভয়ঙ্কর নূর হোসেনের পোষা পাখি
Home Page » জাতীয় » ভয়ঙ্কর নূর হোসেনের পোষা পাখিতমঃ বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ বাউন্ডারির ভেতরে তিনটি দুই তলা ভবন, তার সামনেই রয়েছে তিনটি লোহার তৈরি পাখির খাঁচা। এসব খাঁচার মধ্যে পাখি পুষতেন অপরাধ জগতের এক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী নূর হোসেন। খাঁচা তিনটির মধ্যে ছিল তিনটি দামি বিদেশি পাখিসহ অনেক পাখি ও শতাধিক কবুতর। কবুতরগুলোর বেশিরভাগই ছিল বিদেশি ও দামি।পাখিগুলো যে আগে রীতিমত রাজার হালে খাকতো সেটা খাঁচার ভেতরের অবস্থা ও যে বৈদ্যুতিক ফ্যান লাগানো আছে তা দেখেই অনুমান করা যায়। আগে সাংবাদিকদের ডেকে এ পাখিগুলো নিয়ে সংবাদও করিয়েছেন নূর হোসেন।
কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল থেকে বাড়িগুলোতে লোকজন না থাকায় পাখিগুলোর পেটে দানা পড়েনি সেটাও অনুমান করা যায়। ফলে খাবার না পেয়ে কষ্টে কেটেছে পাখিগুলোর দিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টায় পুলিশের একটি টিম সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে টেকপাড়া এলাকাতে নূর হোসেনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক অভিযান শুরু করেছে।
সেই সময় সেখানে থাকা অভিযানকারী সদস্য ও গণমাধ্যম কর্মীদের চোখে পড়ে তিনটি লোহার খাঁচা, যেখানে বন্দি ছিল তিনটি বিদেশি ম্যাকাও পাখিসহ শতাধিক কবুতর। আর কবুতরের খাঁচার মধ্যেও ছিল প্রচুর বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
খাঁচার মধ্যে পাখিকে যে পাত্রে খাবার দেওয়া হতো সেগুলোও ছিল একেবারেই শূন্য। পানির স্থানটিও ছিল শুকনো। খাঁচার ভেতরে বৈদ্যুতিক ফ্যান থাকলেও সেগুলো ছিল বন্ধ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা তখন নিজেরাই খাঁচার পাশে থাকা খাবারের বস্তা থেকে খাবার ও পানি এনে ওই পাখিগুলোর সামনে রাখেন। সাথে সাথেই অভুক্ত পাখিগুলো খাবার খেতে শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ম্যাকাও পাখির মূল্য কয়েক লাখ টাকা। যেসব কবুতর ছিল তারও মূল্য অনেক বেশি। কারণ, এর বেশিরভাগই বিদেশি প্রজাতির।
নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযানের নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, পাখিগুলো বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩০:২৬ ৩৬৬ বার পঠিত