বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০১৪

মাদক পাচারে সহযোগিতায় ৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মাদক পাচারে সহযোগিতায় ৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০১৪



image_40860_0.jpgডেস্কনিউজঃমাদক পাচারে সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার সাত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পাচারকাজে জড়িত আরো ৭৯৪ জনকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার সাত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারে সহযোগিতার অভিযোগ আনার পর এই দুই জেলায় পুলিশে রদবদল শুরু হয়েছে।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি তাদের শোকজও করা হয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার দেবদাশ ভট্টাচার্য এ তথ্য স্বীকার করে জানান, “মাদক পাচারের সম্ভাব্য রুটগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবাসহ মাদক পাচারে সাত পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭৯৪ জনকে অভিযুক্ত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পরপরই ওই দুই জেলায় পুলিশ প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল শুরু হয়েছে। বান্দরবানের অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের শোকজের পাশাপাশি তাদের বদলির প্রক্রিয়া চলছে।”

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই প্রতিবেদন নিয়ে খোদ পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার অভিযোগ করেন, প্রতিবেদন তৈরির আগে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। তাছাড়া অভিযুক্ত নয় এ রকম বেশ কয়েকজনের নামও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি প্রতিবেদনটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গত জানুয়ারি মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেয়া ওই প্রতিবেদনে নাম এসেছে বান্দরবানের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শিবলী কায়সার, আলীকদম থানার ওসি মো. হোসেন, নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, থানছি থানার এসআই মো. ওমর, রোয়াংছড়ি থানার এসআই জাবেদুল ইসলাম, কক্সবাজারের রামু থানার এসআই বসু মিত্র ও চকরিয়া থানার এসআই নজরুল ইসলামের। তাদের পাশাপাশি বান্দরবান জেলার আরো ২৮ জন ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে প্রতিবেদনে। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে আরো শতাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। কক্সবাজার জেলার প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীসহ পাচ শতাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে তালিকায়। সাতকানিয়া, কেরানীরহাট, লোহাগাড়া, দোহাজারী এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সহযোগির নামও রয়েছে। তাদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলকে চিঠি দিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে বান্দরবানের সহকারী পুলিশ সুপার শিবলী কায়সার বলেন, “সীমান্তে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে সদর সার্কেলের কর্মকর্তার কী সম্পর্ক থাকতে পারে, তা বোধগম্য নয়। প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” তাকে অন্যত্র বদলি করানোর জন্য একটি মহল ওই প্রতিবেদনে নাম উঠিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

আলীকদম থানার ওসি মো. হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ ধরনের হ-য-ব-র-ল প্রতিবেদন কখনোই দেখিনি। সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি কর হয়নি।” প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৮:২৬   ৪২৩ বার পঠিত