শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৩
যৌতুকের দাবিতে নারী ও শিশু নির্যাতন
Home Page » ফিচার » যৌতুকের দাবিতে নারী ও শিশু নির্যাতন||শুভ, বঙ্গ-নিউজ ডটকম || দশ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বেধড়ক লাঠিপেটা, কাঠের মুগুর দিয়ে পেটানোর পর মাথার চুল কেটে দুই সন্তানসহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে মাসুমা বেগমকে(৩২)। মাকে মারধর থেকে বাঁচাতে অষ্টম শ্রেণী পড়উয়া মেয়ে নদী(১৩) এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পাষন্ড স্বামী আইয়ুব আলী আকন ও ননদ হাওয়া বেগম মাসুমাকে এমন নির্দয় নির্যাতন চালায়। শনিবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া উপজেলার মহীপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী নির্যাতনের পরে প্রচন্ড শীতের মধ্যে বাইরে টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে চুল কেটে দেয়া হয়। এলাকার লোকজনের কাছে খবর পেয়ে মাসুমার বাবার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
মাসুমা তার লিখিত অভিযোগে জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মারধর করে আসত স্বামী আইয়ুব। মেযেকে বাচাঁতে মাসুমার মা জমি বিক্রি করে তিন লাখ টাকা দেয় জামাইকে। কিন্তু কয়েক বছর যেতেই নতুন করে দশ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে নির্যাতন শুরু হয় তার উপর।
মাসুমা সন্তানদের কথা চিন্তা করে সব নির্যাতন সহ্য করে মুখ বুজে।
কলাপাড়া থানার এসআই তৌহিদুর রহমান জানান, বিষয়টি তারা শুনেছেন। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান তিনি।
এ ঘটনার রেসধরে কলাপাড়া থানায় মঙ্গলবার মাসুমার ভাই আবু হানিফ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এ মামলা করেন। মামলায় মাসুমার স্বামী আইয়ুব আলী আকন, শ্বশুড় আব্দুর রাজ্জাক আকন ও ননদ হাওয়া বেগমকে আসামী করা হয়। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
গত ২৯ ডিসেম্বর উপজেলার মহীপুর ইউনিয়নের মেয়াজ্জেমপুর গ্রামে যৌতুকের জন্য মাসুমাকে লাঠি ও কাঠের মুগুর দিয়ে ঘন্টাব্যাপী মারধর করে তার স্বামী ও ননদ। পাষন্ডরা ঘন্টাব্যাপী নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হয়নি। প্রচন্ড শীতের মধ্যে টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে তার মাথার চুল এবড়োথেবড়ো করে কেটে দেয়। এ সময় মাকে বাঁচাতে অস্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে নদী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৯:৪১ ৮৮৯ বার পঠিত